আলোচনা সভা, শহীদদের স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মধ্য দিয়ে গতকাল ৭ ডিসেম্বর মঙ্গলবার নাসিরনগর মুক্ত দিবস পালন করা হয়। গতকাল মঙ্গলবার সকালে উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান খান শাওনের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। পরে উপজেলা স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়।
এর আগে সরকারিভাবে দিবসটি উদ্যাপনের কোনো কর্মসূচি না থাকায় বীর মুক্তিযোদ্ধারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। এ সংক্রান্ত একটি সংবাদ দৈনিক আজকের পত্রিকাসহ বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হওয়া পর টনক নড়ে উপজেলা প্রশাসনের।
জানা গেছে, ১৯৭১ সালের ৭ ডিসেম্বরের এই দিনে বীর মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিকামী জনতা নাসিরনগরকে হানাদার মুক্ত করে নাসিরনগরে উড়ায় লাল সবুজের পতাকা। নাসিরনগরের ইতিহাসে এ দিনটি বিশেষ স্মরণীয় দিন।
সাবেক উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. সোহরাব মোল্লা বলেন, ‘কয়েক বছর আমরা নাসিরনগর মুক্ত দিবস পালন করেছি। এ বছর দিবসটি পালন করার কোনো পরিকল্পনা ছিল না। সাংবাদিকেরা নাসিরনগর মুক্ত দিবস নিয়ে ফোন করায় এ বিষয়ে ইউএনওর সঙ্গে আলোচনা করি।’
বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল বাক্কী বলেন, মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস আগামী প্রজন্মকে জানাতে এ দিনটির গুরুত্ব অনেক বেশি। কিন্তু নাসিরনগরে এ দিনটি পালনে সবারই এক ধরনের উদাসীনতা লক্ষ করা যায়।
এ বিষয়ে অনুষ্ঠান শেষে সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. মেহেদি হাসান খান শাওন আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘দিবসটি নাসিরনগরে জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রতিবছর এই দিবস পালনের বিষয়ে আমি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলব।’