সখীপুর উপজেলার কালিদাস গ্রামের এক উদ্যমী যুবক মেহেদি হাসান। পেঁপে চাষ করে খুব অল্প সময়ে অর্থনৈতিকভাবে স্বাবলম্বী হয়েছেন। তিনি এখন একজন সফল চাষি। অনুকরণীয় হয়ে উঠেছেন এলাকার বেকার যুবকের কাছে।
জানা গেছে, এইচএসসি পর্যন্ত পড়ালেখা করা মেহেদি হাসান অল্প বয়সেই সংসারের হাল ধরেন। লালমাটির সমতল পাহাড়ি এলাকায় পোলট্রি খামার, কলা চাষ করে কৃষিজীবন শুরু করলেও আলোড়ন ফেলেছেন পেঁপে চাষ করে।
মেহেদি হাসান বলেন, গত দুই বছরে পেঁপে চাষে ৫ লাখ টাকা বিনিয়োগ করে ইতিমধ্যে প্রায় ৪ লাখ টাকার বিক্রি করেছেন। মোট ১২ লাখ টাকার পেঁপে বিক্রির আশা করছেন। চলতি বছর আরও জমি লিজ নিয়ে পেঁপের বাগান শুরু করেছেন মেহেদি।
মেহেদি আরও বলেন, ‘নতুন করে জমি লিজ, চারা, সার, কীটনাশক, শ্রমিকসহ নানা খরচ বাবদ এ পর্যন্ত ব্যয় হয়েছে প্রায় ৬ লাখ টাকা। উপজেলা কৃষি অফিস সহযোগিতা ও পরামর্শ দিচ্ছে নিয়মিত। তা ছাড়া পেঁপে চাষে তেমন কোনো প্রতিবন্ধকতা নেই। এলাকার অনেকেই এখন পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’ পেঁপে চাষে সরকারি সহযোগিতা পেলে দেশের অনেক বেকারের কর্মসংস্থান সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা নিয়ন্তা বর্মণ বলেন, ‘মেহেদি একজন আদর্শ কৃষক হয়ে উঠেছেন। উপজেলায় তিনি এখন সবচেয়ে বড় পেঁপেচাষি। তাঁকে দেখে অনেকে পেঁপে চাষে আগ্রহী হচ্ছেন।’