চাঁদপুরের মতলব উত্তর উপজেলায় ১৮০টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে মাত্র ৩৫টি বিদ্যালয়ে ছিল স্থায়ী শহীদ মিনার। বাকি ১৪৫টি বিদ্যালয়ে ছিল না শহীদ মিনার। এ কারণে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসসহ বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে পারত না স্কুলের শিক্ষার্থীরা।
এসব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অস্থায়ীভাবে শহীদ মিনার বানিয়ে দিবস পালন করা হতো। আবার কোনো কোনো প্রতিষ্ঠানে পতাকা উত্তোলন করে দিবস পালন করা হতো।
এর পরিপ্রেক্ষিতে উপজেলা শিক্ষা বিভাগ উদ্যোগে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ১৪৫টি বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে এলজিইডির নকশা অনুযায়ী তৈরি করা হয়েছে শহীদ মিনার। সম্প্রতি উপজেলার ১৪৫ প্রাথমিক বিদ্যালয়ে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের আদলে নির্মাণ করা হয়েছে এসব শহীদ মিনার। এবার একুশে ফেব্রুয়ারিতে স্থায়ীভাবে নির্মিত শহীদ মিনারে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাবে শিক্ষার্থীরা।
কলাকান্দা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক এস এম মামুনুর রশিদ বলেন, শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও অভিভাবকেরা খুশি। এবার শিক্ষার্থীরা তাদের নিজ বিদ্যালয়ের শহীদ মিনারে ফুল দিয়ে শহীদদের প্রতি প্রথম শ্রদ্ধা জানাতে পারবে।
মতলব উত্তর উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন ভূঁইয়া বলেন, বিভিন্ন জাতীয় দিবসে বীর শহীদদের প্রতি শিক্ষার্থীরা যাতে শ্রদ্ধা জানাতে পারে এবং দিবসগুলোর তাৎপর্য উপলব্ধি করতে পারে, সে জন্য শহীদ মিনার নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
মতলব উত্তর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা এম এ কুদ্দুস বলেন, বিদ্যালয়গুলোতে আগে শহীদ মিনার ছিল না। স্থানীয়ভাবে অর্থ সংগ্রহের মাধ্যমে শহীদ মিনার তৈরি করে দেওয়া হয়েছে। বিদ্যালয় চত্বরে শহীদ মিনার নির্মাণ হওয়ায় এখন থেকে স্কুলের শিক্ষার্থীরা জাতীয় দিবসগুলোর তাৎপর্য ও জ্ঞান অর্জন করতে পারবে।