গৌরবের বড় তিলক ললাটে নিয়ে গতকাল সকালে দেশে ফিরেছে বাংলাদেশ নারী ক্রিকেট দল। প্রথমবারের মতো তাঁরা ফিরেছেন আইসিসি ওয়ানডে বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে। জিম্বাবুয়েতে বিশ্বকাপ বাছাই খেলতে গিয়ে অবশ্য নতুন করে করোনা-আতঙ্কে পড়েছেন নিগার-সালমারা। লম্বা ও জটিল ভ্রমণ শেষে ফেরা মেয়েরা স্বাভাবিকভাবেই মানসিক ও শারীরিকভাবে ক্লান্ত।
আফ্রিকা মহাদেশে করোনাভাইরাসের নতুন ধরন ওমিক্রন ধরা পড়ায় বাতিল হয়ে গেছে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বের শেষ দিকের ম্যাচগুলো। এরপরই শুরু দলের ঘরে ফেরার যুদ্ধ আর মানসিক অস্থিরতা। অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে গতকাল দেশে ফেরা নারী দলকে ঢাকায় ফিরেই পাঁচ দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে যেতে হয়েছে। কোয়ারেন্টিন শেষে পরিবারের সঙ্গে এক সপ্তাহ সময় কাটাবেন খেলোয়াড়েরা। আপাতত দেশে ফিরে স্বস্তির নিশ্বাস ফেলছেন নারী ক্রিকেটাররা। তাঁদের ওপর দিয়ে বড় একটা ধকলই গেছে। তিন দেশ ঘুরে চার দিনের যাত্রা শেষে গতকাল সকালে মাসকট থেকে ঢাকায় ফিরেছেন নিগাররা। হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে তাঁদের ফুলেল শুভেচ্ছা জানিয়েছে বিসিবি। ওমিক্রন-ঝুঁকি এড়াতে দেশে ফিরে সংবাদমাধ্যমের সামনে আসেননি ক্রিকেটাররা। বিসিবির নারী ক্রিকেট বিভাগের ব্যবস্থাপক তৌহিদ মাহমুদ গতকাল আজকের পত্রিকাকে খেলোয়াড়দের মানসিক অবস্থা বললেন এভাবে, ‘ওরা মানসিকভাবে ক্লান্ত, বিধ্বস্ত। চার দিন লেগেছে ফিরতে। কোয়ারেন্টিন শেষে সপ্তাহখানেক পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবে। এরপর আমরা এ মাসেই একটি ক্যাম্প করব।’
এই ক্যাম্পটা নতুন চ্যালেঞ্জ সামনে রেখে। কোয়ারেন্টিন শেষে শুরু হবে সেই কন্ডিশনিং ক্যাম্প। মেয়েদের এই প্রস্তুতি কমনওয়েলথ গেমসের বাছাইপর্ব সামনে রেখে। জানুয়ারিতে কুয়ালালামপুরে কমনওয়েলথের বাছাইপর্ব খেলবেন নিগাররা। টি-টোয়েন্টি সংস্করণে হওয়া এ বাছাইয়ে অংশ নেবে সাত দল। সেখানে আইসিসির পূর্ণ সদস্য দেশগুলোর মধ্যে থাকছে বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। আগামী বছরের ২৮ জুলাই ইংল্যান্ডের বার্মিংহামে শুরু হবে কমনওয়েলথ গেমস। তৌহিদ বললেন, ‘মাত্রই আমরা ওয়ানডে সংস্করণে খেলে এসেছি। সামনের খেলাটা টি-টোয়েন্টি সংস্করণে। দ্রুত এই সংস্করণে মানিয়ে নিতে দেশে দুই সপ্তাহের কন্ডিশনিং ক্যাম্পটা আমাদের সহায়তা করবে।’
কমনওয়েলথ বাছাই শেষে স্বপ্নের বিশ্বকাপ অভিযান। আগামী বছরের মার্চে নিউজিল্যান্ডে বসবে মেয়েদের ক্রিকেট মহাযজ্ঞ।