হোম > ছাপা সংস্করণ

নৌকা রোধের ডাকে উত্তেজনা

ব্রাহ্মণপাড়া প্রতিনিধি

‘নৌকার মাঝি রাজাকার, নৌকা যাবে পাকিস্তান’- ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু জাহেরের এ বক্তব্য ঘিরে উপজেলায় চলছে আলোচনা-সমালোচনা। স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে দেখা দিয়েছে উত্তেজনা। এর প্রতিবাদে মানববন্ধন কর্মসূচিও পালন করেছে উপজেলা আওয়ামী লীগ।

মুহাম্মদ আবু জাহের ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক। তাঁর একটি বক্তব্য সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়ে। গত ১৯ ডিসেম্বর উপজেলার মালাপাড়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে স্বতন্ত্র প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়ার সভায় যোগ দিয়ে তিনি এ বক্তব্য দেন। সেখানে মুহাম্মদ আবু জাহেরকে বলতে শোনা গেছে, ‘অবৈধ টাকার কারণে জাহাঙ্গীর আলমকে নৌকা দিতে পারেনি। কুচক্রমহলের অবৈধ টাকার কারণে নৌকার মাঝি পরিবর্তন হয়েছে। নৌকার মাঝি খারাপ, আপনারা প্রমাণ করে দেবেন। নৌকার মাঝি রাজাকার, নৌকা যাবে পাকিস্তান।’

এই ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে আবুল কালাম আজাদ ভূঁইয়াকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দেওয়া হয়েছে। তিনি ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।

এই বক্তব্যের প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগ ও এর সহযোগী সংগঠনের উদ্যোগে গত বৃহস্পতিবার দুপুরে উপজেলা পরিষদের সামনে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সভা করা হয়। উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও উপজেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর খান চৌধুরী এতে সভাপতিত্ব করেন।

এ সময় বক্তব্য দেন উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আবদুল বারী, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান এবং উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মো. আমিনুল ইসলাম সুজন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ছারোয়ার খান, মনিরুল হক, উপজেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. বিল্লাল হোসেন সরকার প্রমুখ।

এতে বক্তারা বলেন, এ বক্তব্যের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ। তিনি যে একজন পাকিস্তানপ্রেমী, তিনি তাঁর বক্তব্যে পরিষ্কার করেছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে আবেদন করছি, তাঁকে তিন দিনের মধ্যে আইনের আওতায় আনা না হলে কঠোর আন্দোলন গড়ে তোলা হবে।

উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আবু জাহের বলেন, ‘ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের ভালো প্রার্থীকে মনোনয়ন দেওয়া হয়নি। আমি বলেছি, নৌকা যদি ভালো মাঝির হাতে না দেওয়া হয়, তাহলে ভালো ফল করতে পারবে না। কথাটি বিকৃত করা হয়েছে।’ তিনি বলেন, ‘আমি উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক অর্থবিষয়ক সম্পাদক। আমি আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হয়েছি। আমার নির্বাচনের সময় উপজেলা আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা আমার ১৩টি গাড়ি ভাঙচুর করেছে। আমার ২৯২ জন লোকের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছিল। ওই বিরোধের জের ধরেই আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ঘটনা সাজানো হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ