সুন্দর ও স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ত্বকের পরিচর্যায় ব্যবহৃত পণ্যগুলোর সঠিক ব্যবহারবিধি জানা জরুরি। ত্বকের যত্নে গুরুত্বপূর্ণ হলো সিরাম। বয়সের সঙ্গে সঙ্গে ত্বকের লাবণ্য, উজ্জ্বলতা এবং তারুণ্য ধরে রাখার জন্য জাদুকরীভাবে কাজ করে এই সিরাম। ত্বকে প্রয়োজনীয় সব শক্তিশালী ও সক্রিয় উপাদান সরবরাহ করে ত্বককে করে প্রাণবন্ত। তবে সিরাম ব্যবহারের সঠিক নিয়ম জানা না থাকলে হতে পারে হিতে বিপরীত!
- ময়েশ্চারাইজারের পরে সিরাম ব্যবহার নয়: ময়েশ্চারাইজার এবং ফেস অয়েল-জাতীয় স্কিনকেয়ার প্রডাক্টগুলোর ঘনত্ব বেশি থাকে। তাই ময়েশ্চারাইজার বা ফেস অয়েলের আগে অন্য কোনো স্কিনকেয়ার প্রডাক্ট ব্যবহার করলে সে প্রডাক্টগুলোকে শুষে নেয় ময়েশ্চারাইজার বা ফেস অয়েল। অন্যদিকে সিরাম, অপেক্ষাকৃত হালকা ও ভারী ময়েশ্চারাইজার বা ফেস অয়েল যে বাধা সৃষ্টি করে তা ভেদ করে ত্বকে পৌঁছাতে পারে না। তাই ত্বকে সিরামের কার্যকারিতা বজায় রাখতে অবশ্যই ময়েশ্চারাইজারের আগে সিরাম ব্যবহার করতে ভুলবেন না।
- ভেজা অবস্থায় সিরাম নয়: আপনার ত্বকের ধরন যদি সংবেদনশীল হয়ে থাকে, তাহলে মুখ ধোয়ার পর সঙ্গেই সঙ্গেই সিরাম ব্যবহার করবেন না। সিরাম ব্যবহারের আগে অন্তত ১০ থেকে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন।
- অধিক পরিমাণে ব্যবহার করবেন না: সিরাম কিন্তু ত্বকের জন্য বেশ গাঢ় একটি প্রডাক্ট, যার ঘনত্বও বেশি। সামান্য পরিমাণে ব্যবহার করলেই যথেষ্ট। আজকাল বাজারে যেসব সিরাম পাওয়া যায়, সেগুলোর বেশিরভাগেরই ড্রপার দেওয়া থাকে। সে ক্ষেত্রে পুরো মুখমণ্ডলের নানা অংশে ড্রপার থেকে দুই-তিন ফোঁটা নিয়ে পরে হাত দিয়ে সেই সিরাম ড্যাব করে নিতে পারেন।
- দিনে রেটিনল সিরাম নয়: রেটিনল ত্বককে অতিবেগুনি রশ্মির প্রতি অধিক সংবেদনশীল করে তোলে এবং সূর্যের আলো রেটিনল সিরামের কার্যকারিতা কমায়। নিউইয়র্ক সিটির চর্মরোগ বিশেষজ্ঞ হুইটনি বোয়ে রাতের বেলায় রেটিনল সিরাম ব্যবহার এবং দিনের বেলায় এসপিএফ ৩০ বা তারও বেশি এসপিএফের সানস্ক্রিন ব্যবহারের পরামর্শ দিয়েছেন।
- ত্বকের সমস্যা থাকলে সিরাম নয়: ত্বকে ব্রণ, অ্যাকজিমা বা যেকোনো ধরনের সমস্যা থাকলে সিরাম বাছাই করার আগে অবশ্যই চর্মরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেবেন। কারণ সিরামের ঘনত্ব আপনার ত্বকের সমস্যার সঙ্গে বিক্রিয়া করে ত্বকের সমস্যাগুলো আরও গুরুতর করতে পারে।
সূত্র: ওয়েবএমডি, স্কিনক্র্যাফট ল্যাবরেটরিজ