হোম > ছাপা সংস্করণ

ইউএনওকে অবরুদ্ধ ৮ জনকে জরিমানা

সাটুরিয়া (মানিকগঞ্জ) প্রতিনিধি

মানিকগঞ্জের সাটুরিয়ার ধলেশ্বরী নদীর তীর থেকে অবৈধভাবে বালু তুলে তা বিক্রি করা হচ্ছিল। এমন খবরে গত সোমবার বিকেলে অভিযানে যান সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন আরা ও সহাকারী কমিশনার (ভূমি) রেজওয়ানা কবির। এ সময় তাঁদের প্রায় দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বালু ব্যবসায়ীরা। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে।

এদিকে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে আট ব্যক্তিকে সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া বালু পরিবহনে সাতটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছিল। সাত ট্রাকচালকে জরিমানা করার এগুলো চালকদের জিম্মায় ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

সাটুরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার ফুকুরহাটি ইউনিয়নের ধলেশ্বরী নদী খননে উন্মুক্ত দরপত্র আহ্বান করে পানি উন্নয়ন বোর্ড (পাউবো)। ২০২০ সালে ৬৬ লাখ ৮৫ হাজার ৯৫৬ ঘনফুট বালু ৫১ পয়সা ধরে ৩৪ লাখ ৯ হাজার ৮৩৮ টাকা মূল্যে ইজারা দেওয়া হয়। ২০২০ সালের ৩১ ডিসেম্বরের মধ্যে এ বালু অপসারণের কথা ছিল।

তবে প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে ইজারাদার লিয়াকত আলী খান লাবু, শামীম হোসেন, রফিকুল ইসলাম ও মামুন হোসেন বালু তুলে তা বিক্রি করে আসছিলেন। সরকারি নিলামের শর্ত ভঙ্গ করে অবৈধভাবে কয়েক কোটি টাকার বালু বিক্রি করার অভিযোগ উঠেছে তাঁদের বিরুদ্ধে।

এ খবরে গত সোমবার বিকেলে ঘটনাস্থলে যান ইউএনও শারমিন আরা ও এসিল্যান্ড রেজওয়ানা কবির। এ সময় ইজারাদারদের লোকেরা সরকারি কাজে বাধা দেন এবং তাঁদের অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে তাঁদের উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ইজারাদারদের ব্যবস্থাপক ম্যানেজার আব্দুর রউফকে ২ লাখ টাকা জরিমানা করেন ইউএনও ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট শারমিন আরা।

পরে পুলিশের সহযোগিতায় বালু পরিবহনে ব্যবহৃত সাতটি ট্রাক জব্দ ও এর সাত সাত চালককে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয়। গতকাল মঙ্গলবার শারমিন আরা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সাত চালকের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা করে মোট সাড়ে ৩ লাখ টাকা জরিমানা করেন। এরপর ট্রাকসহ তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়।

ট্রাক চালক ঠান্ডু মিয়া বলেন, ‘এক বছর ধরে আব্দুর রউফের কাছ থেকে ৯০০ টাকা দরে বালু কিনে আমরা সাটুরিয়া উপজেলার বিভিন্ন জায়গায় বিক্রি করে থাকি। প্রতি রাতে ২০ থেকে ২৫ ট্রাক বালু বিক্রি হয়।’

সাটুরিয়া থানার ওসি মুহাম্মদ আশরাফুল আলম বলেন, সরকারি বালু অবৈধভাবে বিক্রি করায় ইউএনও ট্রাকের সাত চালক ও সাতটি ট্রাক জব্দ করেন। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জরিমানা আদায় করে তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে।

ইউএনও শারমিন আরা বলেন, ‘ অবৈধভাবে নদীর তীরের বালু উত্তোলন করে বিক্রির অভিযোগের ভিত্তিতে সোমবার বিকেল অভিযানে যাই। এ সময় আমাকেসহ আমার সহকারী কমিশনারকে (ভূমি) ইজারাদারদের লোকেরা দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন। পরে পুলিশ গিয়ে আমাদের উদ্ধার করে। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে অভিযুক্তদের কাছ থেকে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ