গাজীপুর মহানগর এলাকায় ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গরুবাহী ট্রাক থামিয়ে গরু ডাকাতি করে নিজেদের খামারে রেখে বিক্রি করে আসছিল একটি চক্র। এ ডাকাত চক্রের মূল হোতাসহ ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে গাজীপুর মহানগর পুলিশ (জিএমপি)। পরে তাঁদের খামার থেকে ৪১টি গরু, টাকা ও একটি ট্রাক জব্দ করা হয়েছে।
গত সোমবার রাতের বিভিন্ন সময় ঢাকার আশুলিয়া, কালিয়াকৈর ও জিরানী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাঁদের গ্রেপ্তার করা হয়। এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি ১৪টি গরু ডাকাতির অভিযোগে গাজীপুরের কাশিমপুর থানায় মামলা করেন ছাদেক (৫৮) নামের এ খামারি। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জিএমপির মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান উপকমিশনার (অপরাধ ও মিডিয়া) মো. জাকির হাসান।
গ্রেপ্তার ব্যক্তিরা হলেন—টাঙ্গাইলের নাগরপুর থানার পাইশানা গ্রামের সুমন (৩৫), রংপুরের কাউনিয়া থানার নিজপাড়া এলাকার আসাদুজ্জামান বাবু (৩০), মানিকগঞ্জের দৌলতপুর থানার বাগুটিয়া চরকাটারী পাড়ার শহিদুল ইসলাম (৪০), বগুড়ার ধুনট থানার বামননগর গ্রামের আব্দুল মালেক (৪০), টাঙ্গাইলের মির্জাপুর থানার বাগুটিয়া গ্রামের দুর্জয় রাজবংশী জাইল্লা (২৮) ও ঢাকার আশুলিয়া থানার চাকোল গ্রামের আল-আমীন (২৯)।
উপকমিশনার জাকির হাসান বলেন, আশুলিয়ার নাল্লাপোল্লা গ্রামের সাদিয়া ডেইরি ফার্মের মালিক সুমন। মূলত তাঁর নেতৃত্বে মহাসড়কে গরু ডাকাতির পর লুণ্ঠিত সব পশু তাঁরই খামারে রেখে বিক্রি করা হতো। দিনের পর দিন এভাবে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে গাড়ি থামিয়ে ডাকাতি করে আসছিল এ ডাকাত চক্র।
পুলিশের এ কর্মকর্তা বলেন, মঙ্গলবার গ্রেপ্তার ব্যক্তিদের রিমান্ড আবেদন করে আদালতে পাঠানো হলে আদালত তাঁদের জেলহাজতে পাঠানোর আদেশ দেন। তাঁদের বিরুদ্ধে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে একাধিক মামলা আছে। উদ্ধার করা ৪১টি গরুর মধ্যে মালিকেরা ১৩টি নিজেদের বলে শনাক্ত করেছেন। অন্য গরুগুলোর মালিকদের কাছে বুঝিয়ে দিতে কাজ করছে পুলিশ।