গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) কার্যালয়ের এক কর্মচারীকে মারধরের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন সদস্যের এই তদন্ত কমিটিকে পাঁচ কর্মদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে হবে। তদন্তে দোষী প্রমাণিত হলে অভিযুক্ত কলেজশিক্ষক শরীফ হোসেনের বিরুদ্ধে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হবে। শরীফ হোসেন সরকারি কালীগঞ্জ শ্রমিক কলেজের ব্যবস্থাপনা বিভাগের প্রভাষক।
গতকাল শনিবার বিকেলে তদন্ত কমিটি গঠনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আসসাদিকজামান। তিনি জানান, জাতীয় দিবসের এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠানে এ ধরনের ঘটনা ছিল দুঃখজনক। বিষয়টি আমলে নিয়ে উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) শাহিনা আক্তারকে আহ্বায়ক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্যসচিব ও উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তাকে সদস্য করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গত শুক্রবার বিজয়ের সুবর্ণজয়ন্তীতে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে শপথপাঠের অনুষ্ঠানের সময় ইউএনও অফিসের অফিস সহকারী মিঠুন দত্তের কাছে অতিরিক্ত পাঁচটি মাস্ক চান শরীফ হোসেন। মিঠুন তা দিতে অসম্মতি জানালে তাঁকে গালিগালাজ করেন শরীফ। ইউএনও অফিসের অপর কর্মচারী তারেক ভূঁইয়া ঘটনার প্রতিবাদ করলে তাঁকে মারধর করেন কলেজশিক্ষক শরীফ।
এ সময় সামসুন্নাহার নামের অপর নারী কর্মীর গায়ে তিনি হাত তুলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। পরে তাঁর ইউএনও’র কাছে লিখিত অভিযোগ দেন। তবে অতিরিক্ত মাস্ক চাওয়ার কথা স্বীকার করলেও মারধরের কথা অস্বীকার করেছেন শরীফ হোসেন।