উপজেলার পুলের হাট-জলিশা বাজার এলাকার প্রায় পাঁচ কিলোমিটার সড়ক চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। পিচ উঠে খোয়া বের হয়ে সৃষ্টি হয়েছে ছোট–বড় গর্তের। প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে চলাফেরা করছে পথচারী ও যানবাহন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বেতাগী উপজেলার পোলেরহাট বাজার থেকে বাসন্ডা হয়ে জলিশা বাজার পর্যন্ত চলে গেছে রাস্তাটি। বেতাগী শহর থেকে ৮ কিলোমিটার দূরে জলিশা বাজার। এটি উপজেলার অন্যতম বড় বাজার। সপ্তাহে দুই দিন এখানে হাট বসে। জলিশা বাজার–সংলগ্ন এলাকায় প্রাথমিক বিদ্যালয়, মাধ্যমিক বিদ্যালয়, মাদ্রাসা, ডিগ্রি কলেজসহ কৃষি ব্যাংকের শাখা রয়েছে। ফলে নানা দিক থেকে জলিশা বাজারের গুরুত্ব অনেক এ অঞ্চলের মানুষের কাছে। বেহাল রাস্তায় অনেকটা যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ায় চরম দুর্ভোগে পড়েছেন তারা।
সরেজমিন দেখা গেছে, রাস্তাটির পোলের হাট, বাসন্ডা, গোয়াল বাড়ি, জলিশা বাজার এলাকার অধিকাংশ স্থানে একপাশ দিয়ে চলছে ছোট যানবাহন। বাকি অংশের ইট আর খোয়া উঠে গর্ত তৈরি হয়েছে। বৃষ্টি হলে গর্তে পানি জমে পুকুরের মতো তৈরি হয়ে যাচ্ছে। এ অবস্থায় চলাচল করা আরও কঠিন হয়ে পড়ে।
জলিশা বাজার এলাকার বাসিন্দা মো. সাদ্দাম হোসেন বলেন, জলিশা বাজার থেকে পোলের হাট বাজার সড়কের অবস্থা খুবই খারাপ। এই রাস্তাটি সংস্কারের অভাবে একেবারে নষ্ট হয়ে গেছে। ৫ কিলোমিটার রাস্তায় ছোট বড় হাজারো গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। রাস্তাটি দিয়ে যানবাহন চলাচল তো দূরের কথা পায়ে হেঁটে চলাই এখন কষ্টসাধ্য।
অটোরিকশা চালক হানিফ হাওলাদার বলেন, সড়কের এতটুকু জায়গা পার হতে সময় লাগার কথা দশ মিনিট, সেখানে লাগছে আধ ঘণ্টা। প্রায়ই এই রাস্তা পার হতে গাড়ি বিকল হয়ে যায়। গাড়ির যন্ত্রপাতিও নষ্ট হয়।
হোসনাবাদ ইউপি চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান খান বলেন, ‘গর্ত সৃষ্টি হয়ে সড়কটি চলাচলের অনুপযোগী হয়ে গেছে। ইউনিয়ন পরিষদের এ ধরনের সড়ক সংস্কারের জন্য কোনো অর্থ বরাদ্দ থাকে না। ব্যক্তিগত অর্থায়নে কয়েকটি গর্ত সংস্কার করেছি। বাকি গর্তগুলো শিগগিরই সংস্কার করা হবে।’
তবে বেতাগী উপজেলা প্রকৌশলী শিপলু কর্মকার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় এ বিষয়ে তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।