হোম > ছাপা সংস্করণ

টেন্ডার কেড়ে নিলেন যুবলীগ নেতা

নাটোর প্রতিনিধি

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ওষুধ ও চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের জন্য চার কোটি টাকার টেন্ডারে (দরপত্র) অংশ নিতে চাওয়া ঢাকার তিনটি ওষুধ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানের শিডিউল কেড়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত সোমবার দুপুরে হাসপাতালের বহির্বিভাগের সামনে থেকে জেলা যুবলীগ সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরী এহিয়া শিডিউল কেড়ে নেন বলে অভিযোগ রয়েছে।

ভুক্তভোগীদের সূত্রে জানা গেছে, টেন্ডারে অংশ নিতে চাওয়া ওই তিনটি প্রতিষ্ঠান হলো মেসার্স হিমি ট্রেডার্স, আফরোজা ফার্মেসি ও শাহীন ফার্মেসি। এই তিন প্রতিষ্ঠানের স্থানীয় প্রতিনিধি হাসপাতালে শিডিউল কিনতে গেলে যুবলীগ সভাপতি এহিয়ার লোকজন তাঁদের বাধা দেন। এ সময় তাঁরা জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপনের সহায়তায় শিডিউল কেনেন। কিন্তু জোর-জবরদস্তি করে সবগুলো শিডিউল ছিনিয়ে নেন যুবলীগের সভাপতি। এ ঘটনার একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়েছে।

যুবলীগ সভাপতি এহিয়া নাটোর সদর আসনের সাংসদ ও জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম শিমুল এবং স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাংসদ আব্দুল কুদ্দুসের অনুসারী।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সদর হাসপাতালে ওষুধসহ চিকিৎসা সরঞ্জাম সরবরাহের টেন্ডার আহ্বান করলে ঢাকার মেসার্স হিমি ট্রেডার্সের নাটোর প্রতিনিধি ওমর ফারুক, মেসার্স আফরোজ ফার্মেসির নাটোর প্রতিনিধি মো. মনিরুল ইসলাম ও মেসার্স শাহিন ফার্মেসির নাটোর প্রতিনিধি মো. সোহানূর রহমান শিডিউল কিনতে যান। এ সময় তাঁদের বাধা দেন যুবলীগ সভাপতি এহিয়া চৌধুরীর লোকজন। পরে তাঁরা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপনের সহযোগিতায় শিডিউল কেনেন। তবে এতে এহিয়া ক্ষুব্ধ হন। প্রতিনিধিরা হাসপাতাল ছাড়ার সময় এহিয়া চৌধুরী তাঁদের পথরোধ করেন। তিন প্রতিনিধি এ সময় স্বেচ্ছাসেবক লীগে সাধারণ সম্পাদক স্বপনের হাতে শিডিউলগুলো তুলে দেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি। স্বপনের কাছ থেকে শিডিউল ছিনিয়ে নেন এহিয়া। তখন দুজনের মধ্যে ধস্তাধস্তি হয়।

স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক শফিউল আযম স্বপন বলেন, ‘তিন প্রতিনিধির শিডিউল কেনার খবর পেয়েই এহিয়া দলবল নিয়ে আমাকে ঘিরে ধরেন। এ সময় এহিয়া বলেন যে তিনি ছাড়া আর কেউ টেন্ডার জমা দেবেন না। একপর্যায়ে শিডিউল জাপটে ধরে ছিনিয়ে নিয়ে চলে যান।’

এ বিষয়ে জেলা যুবলীগ সভাপতি এহিয়ার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেও তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

হাসপাতালের সহকারী পরিচালক পরিতোষ কুমার রায় বলেন, টেন্ডারের শিডিউল কিনে বাইরে কোনো ঘটনা ঘটলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের করার কিছুই নেই।

নাটোর সদর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আবু সাদাদ বলেন, এখন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ দায়ের করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এর আগে গতকাল ২৭ সেপ্টেম্বরও বগুড়ার আলিয়া করপোরেশন নামের একটি ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধি একই টেন্ডারের শিডিউল কিনে হাসপাতাল থেকেবের হওয়ার সময় জেলা যুবলীগ সভাপতি বাসিরুর রহমান খান চৌধুরি এহিয়া শিডিউল ছিনিয়ে নেন বলে জানা গেছে।

নাটোর আধুনিক সদর হাসপাতালের ওষুধ, খাবার, আসবাবপত্রসহ মোট ছয়টি গ্রুপে প্রায় চার কোটি টাকার টেন্ডার আহ্বান করে কর্তৃপক্ষ। এখন পর্যন্ত মোট ১৮টি শিডিউল বিক্রি করেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। আগামী ৩০ সেপ্টেম্বর শিডিউল কেনা এবং ৩ অক্টোবর জমা দেওয়ার শেষ দিন নির্ধারিত রয়েছে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ