হোম > ছাপা সংস্করণ

ইতিহাস গড়ার হাতছানি এবার ইরানের সামনে

খেলায় রাজনীতির স্থান নেই—এ কথা যে সত্য নয়, তার অনেক উদাহরণ দেওয়া যাবে। ১৯৮৬ বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনার সেই বিখ্যাত ম্যাচটির কথা বলা যাক। ৪ মিনিটের ব্যবধানে ম্যাচটিতে জোড়া গোল করেছিলেন ডিয়েগো ম্যারাডোনা। তার একটি ‘হ্যান্ড অব গড’ এবং দ্বিতীয়টি ‘গোল অব দ্য সেঞ্চুরি’ নামে বিখ্যাত হয়ে আছে। সেই ম্যাচ জয়ের পর বুনো উল্লাসে মেতে ওঠা ম্যারাডোনা বলেছিলেন, ‘যদিও আমরা ম্যাচের আগে বলেছিলাম মালভিনাস (ফকল্যান্ড) যুদ্ধের সঙ্গে ফুটবলের কোনো সম্পর্ক নেই।

কিন্তু আমরা জানতাম তারা আর্জেন্টাইন শিশুদের হত্যা করেছে। তাদের ছোট ছোট পাখির মতো মেরেছে। এবং এটাই প্রতিশোধ।’
ইংলিশদের বিপক্ষে প্রতিশোধই নিতে চেয়েছিলেন ম্যারাডোনা এবং নিয়েছেনও। লম্বা সময় আর্জেন্টিনার ফকল্যান্ড দ্বীপপুঞ্জ দখলে রেখেছিল ব্রিটিশরা। দ্বীপটি অধিকারে নিতে গেলে আর্জেন্টাইনদের সঙ্গে প্রায় তিন মাসের যুদ্ধ হয় ইংল্যান্ডের সঙ্গে। এই যুদ্ধ যেন আগুন জ্বালিয়ে দিয়েছিল ম্যারাডোনার মনে।

আজ যখন যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ইরান মাঠে নামবে তখন কি দুই দেশের দীর্ঘদিনের রাজনৈতিক উত্তাপ মাঠে পড়বে না? এমনিতেও কাতার বিশ্বকাপে টিকে থাকার লড়াইয়ে দুই দলের জন্য ম্যাচটি মহাগুরুত্বপূর্ণ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বিধ্বস্ত হলেও তাদের প্রতিবেশী ওয়েলসের শেষ মুহূর্তে দুই গোলে হারিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ডের আশা বাঁচিয়ে রেখেছে ইরান। আজ আল থুমামা স্টেডিয়ামে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে ড্র বা হারাতে পারলে নিজেদের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো শেষ ষোলোয় খেলার যোগ্যতা অর্জন করবে এশিয়ার দেশটি। যুক্তরাষ্ট্রের বিদায় ঘণ্টা বাজিয়ে দিতে পারলে মার্কিন সরকারকেও জবাব দেওয়া হয়ে যাবে তাদের।

প্রথম দুই ম্যাচে ড্র করায় খাদের কিনারে যুক্তরাষ্ট্র। টিকে থাকতে হলে তাদেরও জয় ছাড়া বিকল্প নেই। তবে ‘শত্রুদের’ বিপক্ষে ম্যাচে দুই দেশের রাজনৈতিক প্রভাব মাঠে পড়বে না মনে করেন যুক্তরাষ্ট্রের কোচ গ্রেগ বারহল্টার, ‘আমি মনে করি, ম্যাচটি অত্যন্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ হবে। দুই দলই পরের রাউন্ডে যেতে চায়—সেটা রাজনৈতিক বা আমাদের দুই দেশের উত্তপ্ত সম্পর্কের কারণে নয়।

আমরা ফুটবল খেলোয়াড়, খেলার প্রতি ভালোবাসায় আমাদের একত্রিত করেছে।’ সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিকভাবে অস্থিতিশীল অবস্থার মধ্যে যাচ্ছে ইরান। মাসা আমিনি নামে এক কুর্দি তরুণী নীতি পুলিশের হেফাজতে মৃত্যুবরণ করার পর থেকে ফুঁসে উঠে দেশটির জনগণ। সেই ছাপ দেখা গেছে কাতারের স্টেডিয়ামেও। এমনকি প্রতিবাদ জানিয়ে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচে জাতীয় সংগীতও গায়নি ইরানি ফুটবলাররা। সামনে যখন প্রতিপক্ষ যুক্তরাষ্ট্র এবং প্রথমবারের মতো বিশ্বকাপের দ্বিতীয় পর্বে যাওয়ার সুযোগ তখন নিশ্চয়ই যুদ্ধের মাঠ থেকে খালি হাতে ফিরতে চাইবে না কার্লোস কুইরোজের শিষ্যরা। জবাবটা তারা দিতে চাইবে ইরানকে নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করা সাবেক জার্মান স্ট্রাইকার ইয়ুর্গেন ক্লিন্সম্যানকেও।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ