ঢাকার দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার পারগেণ্ডারিয়া এলাকায় বাড়িতে ঢুকে এক গৃহবধূকে নির্যাতনের পর শ্লীলতাহানির চেষ্টা ও স্বামী-সন্তানকে মারধরের ঘটনায় মামলা হলেও এখনো কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। উল্টো মামলা তুলে নিতে নির্যাতনের শিকার ওই নারী ও তাঁর স্বজনদের অভিযুক্তরা হুমকি দিচ্ছেন বলে জানা গেছে। তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তার দাবি, তিনি আসামি ধরার চেষ্টা করছেন।
জানা যায়, গত ২৫ ফেব্রুয়ারি গাছ থেকে বরই পেড়ে বাড়ি ফিরছিল রীনা বেগমের ছোট ছেলে ফাহিম (১৪)। স্থানীয় সাকিব তার কাছ থেকে বরই কেড়ে নিতে চাইলে সে বাধা দেয়। এ ঘটনায় সাকিব কয়েকজনকে নিয়ে ফাহিমকে মারধর করেন। খবর পেয়ে রীনা বেগম, তাঁর স্বামী রতন খাঁ ও বড় ছেলে সাগর ঘটনাস্থলে গিয়ে ফাহিমকে উদ্ধার করে বাড়িতে নিয়ে আসেন। এর কিছুক্ষণ পর সাকিব, তাঁর বাবা দেলোয়ার হোসেন, ফুয়াদ, জুবায়ের ও পারভেজসহ অজ্ঞাতনামা ১৫-২০ জন রীনা বেগমের বাড়িতে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালান। রীনা বেগমকে শ্লীলতাহানির চেষ্টা করেন। তাঁর চুলের মুঠি ধরে টেনেহিঁচড়ে নির্যাতন চালান। এ সময় রীনা বেগমের স্বামী দেলোয়ার হোসেন ও দুই ছেলেকে প্রচণ্ড মারধর করেন হামলাকারীরা।
রীনা বেগম জানান, মামলার পর কয়েক দিন পেরিয়ে গেলেও একজন আসামিকেও গ্রেপ্তার করেনি পুলিশ। অথচ আসামিরা এলাকায় প্রকাশ্যে ঘুরছেন। মামলা তুলে নিতে বিভিন্ন মাধ্যমে হুমকি দিচ্ছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার এসআই মিলন ফকির বলেন, ‘আসামিদের ধরার চেষ্টা চলছে।’