হোম > ছাপা সংস্করণ

অবৈধ ডেন্টাল কেয়ারের ছড়াছড়ি

রাসেল আহমেদ, তেরখাদা

তেরখাদা উপজেলায় যত্রতত্র গড়ে উঠেছে ডেন্টাল কেয়ার। এগুলোর বেশির ভাগেরই কোনো অনুমোদন নেই। নিয়মমাফিক নেই চিকিৎসক, নেই অভিজ্ঞ টেকনিশিয়ান ও বৈধ কাগজপত্রও। এসব ডেন্টাল কেয়ারে উপজেলার অনেক মানুষ অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন।

জানা গেছে, ওষুধ ব্যবসায়ী ও হাতুড়ে চিকিৎসকেরা দাঁতের চিকিৎসক সেজে ডেন্টাল কেয়ার খুলে বসেছেন। অনেকে কিছু না বুঝেই তাঁদের কাছ থেকে দাঁতের চিকিৎসা নিয়ে প্রতারিত হচ্ছেন। প্রশাসন এসব দেখেও না দেখার ভান করছে। তাঁদের অপচিকিৎসার কারণে মানুষ হেপাটাইটিসসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হতে পারেন বলে তেরখাদা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ডেন্টাল সার্জন ডা. মো. আমিনুর রহমান জানিয়েছেন।

আমিনুর রহমান আরও বলেন, ‘তেরখাদা উপজেলা সদরে যে কয়টি ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে, তাতে বেশির ভাগ চিকিৎসকেরই ন্যূনতম ডিগ্রি বা ডিপ্লোমা নেই। যাঁরা এই চিকিৎসার সঙ্গে জড়িত, তাঁদের কাছ থেকে চিকিৎসা নিয়ে বহু লোককে শেষ পর্যন্ত হাসপাতালে গিয়ে চিকিৎসা নিতে হচ্ছে। দেখা যায়, অনেকের মুখ ফুলে গেছে বা খারাপ অবস্থা হয়েছে। তখনই আমাদের কাছে আসে। এসব ব্যক্তি কারও কাছে অভিযোগ করতে পারে না বা কিছুই করতে পারে না।’

এসব হাতুড়ে চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, তেরখাদা উপজেলা সদরের কাটেংগা বাজারসহ উপজেলার বিভিন্ন স্থানে প্রায় ১৫-২০টি ডেন্টাল কেয়ার রয়েছে। রোগীদের আকৃষ্ট করার জন্য এসব প্রতিষ্ঠানের নামে টানানো হয়েছে আকর্ষণীয় ব্যানার ও সাইনবোর্ড। ভুয়া পদ-পদবি ও অভিজ্ঞতার তথ্য ব্যবহার করে তাঁরা রোগীদের সঙ্গে প্রতারণা করে সেবার নামে বাণিজ্য করে যাচ্ছেন।

উপজেলার ইখড়ি এলাকার এক ভুক্তভোগী জানান, তিনি উপজেলা সদরের এক ডেন্টাল কেয়ারে চিকিৎসা করিয়ে দীর্ঘদিন ভুগে পরে খুলনায় ডেন্টাল চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে সুস্থ হয়েছেন। সরকারি বিধি অনুযায়ী, ডিপ্লোমাধারী টেকনিশিয়ানরাও চেম্বার খুলে জটিল রোগের কোনো চিকিৎসা দেওয়ার বিধান নেই। অথচ দাঁত ওঠানো, বাঁধানো, রুট ক্যানেল, জিআই, ফিলিং, দাঁত সোজা করার মতো স্পর্শকাতর চিকিৎসার কাজ করে যাচ্ছেন এসব কতিপয় হাতুড়ে চিকিৎসক।

উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো. আসাদুজ্জামান বলেন, ডেন্টাল বা মেডিসিন হোক কেউ এমবিবিএস ছাড়া চিকিৎসক লিখতে পারবেন না। যদি ডিপ্লোমা ডিগ্রি থাকে, তাহলে প্র্যাকটিস করবে, কিন্তু স্পেশাল কোনো ট্রিটমেন্ট করতে পারবেন না। শিগগিরই এসব ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে তিনি জানান।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ