কক্সবাজারের কুতুবদিয়ায় ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। রোগী ও স্বজনদের অভিযোগ, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কলেরা স্যালাইন ও ডায়রিয়ার জন্য দরকারি ওষুধ পাওয়া যাচ্ছে না। এতে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হচ্ছে তাঁদের।
কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স সূত্রে জানা গেছে, ১ থেকে ১৩ নভেম্বর পর্যন্ত ২৬৭ জন রোগী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি হয়েছে। এর মধ্যে ডায়রিয়া রোগী ১৩৯ জন।
দক্ষিণ ধূরুং ইউনিয়নের আশা হাজীরপাড়ার মো. মনছুর আলমের দেড় বছর বয়সী শিশু ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে দুই দিন ধরে হাসপাতালে ভর্তি রয়েছে। মনছুরের অভিযোগ, হাসপাতাল থেকে কোনো ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না। সব বাইরে থেকে কিনতে হয়েছে।
একই অভিযোগ উত্তর কৈয়ারবিল ইউনিয়নে মিয়াজীর পাড়ার ডায়রিয়া রোগী মাজেদা বেগমের (৩৫)।
হাসপাতালে রোগী দেখতে আসা কৈয়ারবিল ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আজমগীর মাতবর প্রকাশ করে বলেন, ‘হাসপাতালে সেবা নিতে আসা রোগীরা গরিব ও অসহায়। সরকারিভাবে সব ওষুধ সরবার থাকার পরও রোগীদের ওষুধ দেওয়া হচ্ছে না।’
কুতুবদিয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক চিকিৎসা রেজাউল হাসান বলেন, ‘আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে ডায়রিয়া ও নিউমোনিয়া রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। হাসপাতালে এক সপ্তাহ ওয়ার্ডে ওষুধ সরবরাহ ছিল না, তবে সেটি আমাদের কেউ বলেনি। এদিকে নার্স (ইনচার্জ) বদলি হয়েছে। নতুন ইনচার্জকে দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে মনে করে ইনচার্জ ওয়ার্ডে ওষুধ স্টক রাখেনি। এখন সব ওষুধের সরবার আছে।’