হোম > ছাপা সংস্করণ

ভাড়া ভবনেই পাঁচ বছর

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি

প্রতিষ্ঠার পাঁচ বছরেও নিজস্ব ভবন পায়নি ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। দুটি ভাড়া ভবনে কার্যক্রম চালাতে হিমশিম খেতে হচ্ছে কর্তৃপক্ষকে। রয়েছে জনবলের সংকট। নানা প্রতিকূলতার মধ্যেও গত বছর এসএসসি পাসের হারে সারা দেশে প্রথম হয়েছিল এই শিক্ষা বোর্ড। এটি দেশের ১১তম শিক্ষা বোর্ড।

জানা গেছে, ময়মনসিংহ, নেত্রকোনা, শেরপুর ও জামালপুর—এই চার জেলা নিয়ে ২০১৭ সালের ৩১ ডিসেম্বর আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড। বর্তমানে নগরীর কাঠগোলায় ভাড়া করা পৃথক দুটি ভবনে চলছে শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম। এক অফিস থেকে আরেক অফিসের দূরত্ব প্রায় আধা কিলোমিটার। দুই অফিসে সমন্বয় করে কাজ করতে বেগ পেতে হয় কর্মকর্তা-কর্মচারীদের। প্রস্তাবিত ১৪০ জনবলের স্থলে রয়েছেন মাত্র ৩৩ জন। স্বল্পসংখ্যক জনবল দিয়েই কার্যক্রম চালিয়ে যাওয়া হচ্ছে। বোর্ড প্রতিষ্ঠার পর থেকে পাঁচটি জাতীয় পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ২০২১ সালের এসএসসি পরীক্ষায় পাসের হার ছিল ৯৭ দশমিক ৫২ শতাংশ, যা সারা দেশে সবচেয়ে বেশি। আগামী পরীক্ষাগুলোয়ও ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড ভালো ফল করবে, আশা চেয়ারম্যানের।

ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের উপ-পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক (উচ্চমাধ্যমিক) এসএম মোবাশ্বির হোসাইন বলেন, ‘ময়মনসিংহ শিক্ষা বোর্ডের অধীনে প্রায় তিন হাজার শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে। বোর্ড কার্যক্রম পরিচালনার জন্য ১৮ জন অফিসার, ১৫ জন কর্মচারী রয়েছে। লোকবল কম থাকার পাশাপাশি দুটি ভাড়া ভবনে কার্যক্রম পরিচালনা করতে গিয়ে কিছুটা বেগ পেলেও আমরা সমন্বয় করে তা করতে পারছি। মন্ত্রণালয়ে আমাদের সব সুযোগ-সুবিধার জন্য আবেদন করা হয়েছে। সেগুলো বাস্তবায়ন হলে আমাদের সমস্যা দূর হয়ে যাবে’।

উপসচিব (প্রশাসন ও সংস্থাপন) মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান বলেন, ‘এখন জায়গাস্বল্পতায় কম্পিউটার ল্যাবের কার্যক্রম ঠিকমতো করতে না পারায় বড় পরিসরের ভবন ভাড়া নেওয়ার জন্য খোঁজা হচ্ছে। শিক্ষা প্রকৌশলী দিয়ে ইতিমধ্যে আধুনিক শিক্ষা বোর্ড নির্মাণের জন্য মাস্টারপ্ল্যান তৈরি করা হয়েছে।

জেলা নাগরিক আন্দোলনের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট শাহ্ শিব্বির আহম্মেদ লিটন বলেন, প্রধানমন্ত্রীর কাছে আমাদের আহ্বান থাকবে নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের দিকে একটু নজর দেওয়ার জন্য। অন্যথায় আমরা নামের মধ্যেই পড়ে থাকব।’

ময়মনসিংহ মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. গাজী হাসান কামাল বলেন, ‘নিজস্ব ভবন না থাকার কারণে অনেক কষ্টে শিক্ষা বোর্ডের কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। এক ভবন থেকে অন্য ভবনে দৌড়ঝাঁপ করে কাজ করতে হচ্ছে। জায়গাও সংকুলান হচ্ছে না। সবচেয়ে বড় সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় বিদ্যুৎ চলে গেলে।’

ময়মনসিংহ বিভাগের অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (সার্বিক) মোহাম্মদ আনোয়ার হোসেন বলেন, ‘বিভাগীয় শহরের জন্য জমি অধিগ্রহণের বিষয়টি একনেক সভায় অনুমোদনের অপেক্ষায় আছে। অনুমোদন হলে ব্রহ্মপুত্র নদের ওপারে বিভাগীয় সদর দপ্তরের কাজ শুরু হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ