জিয়াউল রোশানের ভীষণ প্রিয় অভিনেতা মোশাররফ করিম। যখন শুনলেন মোশাররফ করিমসহ আজাদ আবুল কালাম, ফারুক আহমেদ, প্রাণ রায়, ইরেশ যাকেরদের মতো অভিনেতারা থাকছেন এই সিনেমায়, আর নায়িকা হচ্ছেন প্রিয় বন্ধু পরী—সঙ্গে সঙ্গেই সম্মতি জানিয়ে দিলেন। রোশান বলেন, ‘যাঁদের দেখে অভিনয় শিখি, মোশাররফ ভাই তাঁদের অন্যতম। যখন প্রস্তাব এল ভাবলাম, এমন বড় বড় অভিনয়শিল্পীকে পরিচালক যখন কনভেন্স করতে পেরেছেন গল্পের জোরে, সেখানে আমারও অবশ্যই থাকা উচিত। শুটিং শেষে গভীর রাত পর্যন্ত মোশাররফ ভাই, পাভেল ভাইদের সঙ্গে আড্ডা দিতাম। আমি, পরী মুগ্ধ হয়ে তাঁদের কথা শুনতাম। এই সিনেমা আমাদের শেখার ঝুঁলিতে অনেক কিছু যোগ করেছে।’
পরিচালক ইফতেখার শুভর এটা প্রথম সিনেমা। তিনি বলেন, ‘গল্পটা সবার খুব ভালো লেগেছে। মোশাররফ ভাইকে জিজ্ঞাসাও করেছি, আপনি তো সিনেমা খুবই বেছে বেছে করেন। আমার এই সিনেমা করতে রাজি হওয়ার কারণ কী ছিল? তিনি বলেছেন, তোমার গল্পটা পছন্দ হয়েছে। আমার কী চরিত্র, তার চেয়ে কোনো একটা ভালো গল্পের অংশ হতে পেরেছি সেটাই বড় কথা।’
২০১৯-২০ সরকারি অনুদানের এই সিনেমার গল্পও লিখেছেন নির্মাতা ইফতেখার শুভ। তাঁর ‘পেজ নম্বর ফোরটি ফোর’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হয়েছে ‘মুখোশ’। সহপ্রযোজনা করেছে ব্যাচেলর ডট কম। সিলেট, টাঙ্গাইল, এফডিসি, বইমেলা, পদ্মার চর ও সাভারে হয়েছে শুটিং। মুখোশের আড়ালে আসলে কে আছেন? পরিচালক জানালেন, এর প্রধান চরিত্র ইব্রাহিম খালেদি। ট্রেলারে লেখক চরিত্রের ইব্রাহিম খালেদির সন্ধান মিললেও থাকবে আরও অনেক শেড।
রোশান অভিনয় করেছেন একজন নায়কের ভূমিকায়। পরীমণি আছেন ক্রাইম রিপোর্টার সোহানা চরিত্রে।
মোশাররফ করিমের সঙ্গে কাজের অভিজ্ঞতা জানিয়ে পরী বলেন, ‘মোশাররফ ভাই আমার দেশি লোক। মানে বরিশালের। যখন শুটিং শুরু করি, তখনই একটা ছবি ফেসবুকে আপ করেছিলাম। ক্যাপশন দিয়েছিলাম দেশি। আমরা প্লেন থেকে প্রথম দিন যখন নামলাম, একই গাড়িতে শুটিং স্পটে গেলাম। সেই সময় মোশাররফ ভাই আমাদের সঙ্গে এমনভাবে আড্ডা দিয়েছেন যে ক্যামেরার সামনে গিয়ে একদমই ভয় লাগেনি বা ওই ফিলটা আসেনি যে এত বড় এক অভিনেতার সামনে সংলাপ দিচ্ছি বা সেই ভয়টা কাজ করেনি। তিনি সেই কমফোর্ট জোনটা আগেই তৈরি করে দিয়েছেন।’