মুন্সিগঞ্জের টঙ্গিবাড়ীতে ধীপুর ইউনিয়নে নয়ানন্দ খালের ওপর নির্মিত কাঠের পুলটি বেহাল হয়ে পড়েছে। সংস্কারের অভাবে পাটাতনের কাঠ উঠে ফাঁকা হয়ে গেছে। নড়বড় করছে কাঠের পুলের খুঁটিগুলো। এর মধ্যেই ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন এলাকাবাসী।
উপজেলার কাজল রেখা খালের সঙ্গে সংযোগ নয়ানন্দ খালের ওপর নির্মিত এ পুলটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ পারাপার হন। স্থানীয়দের নিজ উদ্যোগে পুলটি সংস্কার করলেও পুলটি দিয়ে কোনো যানবাহন চলাচল করতে পারছে না। স্থানীয় বাসিন্দারা বহুদিন ধরে খালের ওপর পাকা সেতু নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছেন ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউপি সদস্যদের কাছে। কিন্তু তাঁদের দাবি আজও পূরণ হয়নি।
গত রোববার সরেজমিন দেখা যায়, কাঠের পুলের কোনো হাতল নেই। শিশু, বয়স্ক ও অসুস্থ রোগীরা ঝুঁকি নিয়ে পার হচ্ছেন।
স্থানীয় বাসিন্দা নাজমুল ইসলাম জানান, নয়ানন্দ মরিচখোলা হতে কাঠের পুলটি দিয়ে রংমেহার হয়ে টঙ্গিবাড়ী বাজারে যাতায়াত করেন এ অঞ্চলের প্রায় ৩০০ পরিবারের লোকজন। সড়কের পাশেই রয়েছে আলু চাষের বিল। ঝুঁকিপূর্ণ কাঠের পুলের জন্য হিমাগারগুলোতে আলু নিয়ে যেতে অনেক সমস্যা হয়। এ অঞ্চলের বয়স্ক লোকদের শারীরিক সমস্যা দেখা দিলে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যেতে অনেক সমস্যা হয়। তাই কাঠের পুলটির স্থানে পাকা সেতু নির্মাণের প্রয়োজন।’
আবদুস সোবহান বলেন, কাঠের পুলটি দিয়ে তালুকদার বাড়ি, শেখ বাড়ি, খান বাড়ি, ডাক্তার বাড়ি, ব্যাপারী বাড়ি, নাপিত বাড়িসহ বিভিন্ন বাড়ির প্রায় ৩০০ পরিবারের লোকজন যাতায়াত করেন। পাশাপাশি আড়িয়ল ইউনিয়নের কুরমিরা গ্রামের কয়েকশ লোক প্রতিদিন যাতায়াত করেন। ঝুঁকি নিয়ে পারাপার হচ্ছে ছোট ছোট শিশু ও বৃদ্ধ। এ অঞ্চলের বাসিন্দাদের হাট-বাজার করে বাড়িতে আসতে অনেক কষ্ট হয়। ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় কোনো যানবাহন চলাচল করা সম্ভব নয়। তাই মাথায় করেই চালের বস্তাসহ বাজার আনতে হয়।
ধীপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৯ নম্বর ওয়ার্ডের নবনির্বাচিত ইউপি সদস্য আবদুল হাই তালুকদার বলেন, ‘কাঠের পুলের কারণে অঞ্চলের মানুষের অনেক সমস্যা হচ্ছে। আমি মাত্র মেম্বার হয়েছি। বিষয়টি ইউপি চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মোল্লার সঙ্গে আলোচনা করে উপজেলা প্রশাসনের মাধ্যমে কালভার্ট নির্মাণের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হবে।’