‘হঠাৎ মেঘের পানিত সব আলু পচে গেইছে, ফের জমিত হালচাষ করে হেনে আলু লাগানো শুরু করিছু। দেখু এইবার কী করে ওপরওয়ালা। ভয় নাগেছে, যদি ফের পানি আসে।’ গতকাল শনিবার সকালে কথাগুলো বলছিলেন আলু চাষি সফিরুল ইসলাম।
সফিরুলের বাড়ি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার বড়বাড়ী ইউনিয়নে। দুই সপ্তাহ আগের বৃষ্টিতে তাঁর দেড় বিঘা জমির আলুর খেত পচে নষ্ট হয়ে গেছে। প্রায় ২০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে তাঁর। চারজন শ্রমিক নিয়ে ওই জমিতে পুনরায় আলু রোপণ করছেন তিনি।
সফিরুলের মতো বড়বাড়ী ইউনিয়নের আলু চাষি আব্দুল লতিফ, ইসমাইল, আবুল কাশেম, সইদুল ইসলাম প্রমুখ আগাম জাতের আলু রোপণ করেছিল। কিন্তু পানিতে সব পচে নষ্ট হয়ে গেছে। তাই তাঁরা পুনরায় আলু রোপণ করছেন।
ওই ইউনিয়নের আরেক আলু চাষি আব্দুল লতিফ জানান, বৃষ্টির পর পানিতে ডুবে যাওয়া ১ বিঘা জমির আলুখেত থেকে আলু তোলে রৌদ্রে শুকিয়ে সংরক্ষণের চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু লাভ হয়নি। পুরোটা পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, অসময়ে বৃষ্টিতে আগাম জাতের ৫০ হেক্টর জমির আলুখেত পানিতে ডুবে নষ্ট হয়েছে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সুবোধ চন্দ্র রায় বলেন, ‘আশা করছি ১৫ দিনের মধ্যেই চাষিরা পুনরায় আলু রোপণ কাজ শেষ করতে পারবেন। আমরা সব ধরনের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছি।’