হোম > ছাপা সংস্করণ

বিলাসিতা ধ্বংস ডেকে আনে

মাওলানা ইসমাইল নাজিম

হালাল উপায়ে ধন-সম্পদ উপার্জন করা ইসলামে দূষণীয় নয়। তবে অপচয়-অপব্যয় ও বিলাসিতা-আরামপ্রিয়তা ইসলামের শিক্ষা নয়। মহানবী (সা.) তাঁর উম্মতের ব্যাপারে দুনিয়ার মোহে পড়ে আখিরাত নষ্ট করার আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, ‘আল্লাহর কসম! আমি তোমাদের নিয়ে দারিদ্র্যের ভয় করি না। কিন্তু এ আশঙ্কা করি যে তোমাদের ওপর দুনিয়া এমন প্রসারিত হয়ে পড়বে, যেমন তোমাদের পূর্ববর্তীদের ওপর প্রসারিত হয়েছিল। আর তোমরাও দুনিয়ার প্রতি আকৃষ্ট হয়ে পড়বে, যেমন তারা আকৃষ্ট হয়েছিল। আর তা তোমাদের বিনাশ করবে, যেমন তাদের বিনাশ করেছে।’ (বুখারি)

বিশেষ করে সমাজের নেতৃত্বস্থানীয় মানুষের বিলাসিতা ইসলামে কঠোরভাবে নিষিদ্ধ। কারণ রাষ্ট্রীয় কোষাগারের অর্থ তাদের কাছে আমানতস্বরূপ। তা নিয়ে বিলাসিতা করা খেয়ানত এবং সাধারণ মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতার অন্তর্ভুক্ত। এ জন্য নবী (সা.) সাহাবিদের কোথাও দায়িত্ব দিয়ে পাঠালে তাঁদের বিলাসিতা না করার আদেশ দিতেন। যেমন মুআজ ইবনে জাবাল (রা.)-কে ইয়েমেনে পাঠানোর সময় তাঁকে উপদেশ দিয়ে নবী (সা.) বলেছিলেন, ‘হে মুআজ, নিজেকে বিলাসিতা থেকে দূরে রেখো। কারণ আল্লাহর খাস বান্দারা বিলাসী জীবন যাপন করে না।’ (শুআবুল ইমান)

বিলাসিতা ধ্বংস ডেকে আনে; বিশেষ করে বিত্তশালীরা যখন আল্লাহ তাআলার অবাধ্য হয়ে পড়ে এবং ভোগের নিত্যনতুন খেলায় মেতে ওঠে, তখন মানবজাতির ধ্বংস অনিবার্য হয়ে পড়ে। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘যখন আমি কোনো জনপদ ধ্বংস করতে চাই, তখন সেখানকার সচ্ছল ব্যক্তিদের আমার আদেশ মেনে চলতে বলি। কিন্তু তারা অবাধ্যতা করতে থাকে। তখন সেই জনপদে আমার শাস্তির সিদ্ধান্ত অবধারিত হয়ে যায়। আমি তা সম্পূর্ণভাবে বিধ্বস্ত করে দিই।’ (সুরা ইসরা: ১৬)

মাওলানা ইসমাইল নাজিম, ইসলামবিষয়ক গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ