চৌদ্দগ্রাম অংশের ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে গড়ে উঠেছে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার অবৈধ স্ট্যান্ড। চৌদ্দগ্রাম বাজারের সামনে মহাসড়কে যাত্রী ওঠানো ও নামানোর জন্য দাঁড় করিয়ে রাখা হচ্ছে এসব তিন চাকার যান। এতে এই অংশে যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। অপর দিকে চলাচলের পথ না থাকায় বাধ্য হয়ে মহাসড়কের মধ্যখান দিয়ে পথচারীদের হাঁটতে হচ্ছে। এতে রয়েছে দুর্ঘটনার শঙ্কা।
এদিকে বাজারের অংশটিতে তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে হাইওয়ে পুলিশ বিভিন্ন সময়ে অভিযান চালালেও দীর্ঘ মেয়াদি সুফল পাওয়া যাচ্ছে না। অভিযান শেষের কিছু দিন পরেই আগের রূপে ফিরছে মহাসড়ক। এতে চার লেনের সড়কটিতে দূরপাল্লার যান চলাচলের জন্য এক লেন খালি থাকছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, অটোরিকশার স্ট্যান্ডের পাশাপাশি যানজটের জন্য আরও একটি কারণ জানা গেছে। সেটি হলো, চৌদ্দগ্রাম বাজারের মহাসড়ক অংশে কোনো ধরনের যাত্রীবাহী গণপরিবহন যাত্রী উঠানামা করতে পারবে না বলে সড়ক ও জনপথ বিভাগ থেকে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে। তবে এটি তোয়াক্কা করছেন না গণপরিবহনের চালকেরা।
৬০ বছর বয়সী পথচারী সানোয়ারা বেগম বলেন, ‘আমি বৃদ্ধ মানুষ। দুই পাশে গাড়ি দাঁড়িয়ে থাকে, রাস্তা পার হতে অনেক সমস্যা।’
আরেক পথচারী ইব্রাহিম মজুমদার বলেন, ‘দেশের গুরুত্বপূর্ণ মহাসড়কটির দুই পাশে অবৈধভাবে অটোরিকশার স্ট্যান্ড তৈরি হওয়ায় ভোগান্তি পোহাতে হচ্ছে। অনেকে আবার দুর্ঘটনার শিকারও হচ্ছেন।’
মিয়াবাজার হাইওয়ে থানার ইনচার্জ মো. আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার অংশে মহাসড়কে যাত্রীবাহী গণপরিবহন ও যেকোনো পরিবহন দাঁড়ানোর নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অসাধু চালকেরা তা অমান্য করছে। বিষয়টি আমার নজরে এলে একাধিকবার অভিযান চালালেও পুলিশ ঘটনাস্থল ত্যাগ করার পর চালকেরা আবারও ওই স্থানে গাড়ি দাঁড় করাচ্ছেন। তিন চাকার যানের বিরুদ্ধে প্রশাসনের অভিযান চলবে।’
চৌদ্দগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) এস এম মঞ্জুরুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘বাজার থেকে তিন চাকার যান সরানোর অভিযান আরও জোরদার করা হবে।’