মেঘনার ভাঙন থেকে চাঁদপুর মতলব উত্তর উপজেলার এখলাছপুর ইউনিয়নকে রক্ষার দাবিতে মানববন্ধন করেছেন এলাকাবাসী। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দারা এ মানববন্ধনে অংশ নেন।
মানববন্ধনে অংশগ্রহণকারীরা বলেন, মেঘনা নদী থেকে অপরিকল্পিতভাবে শত শত ড্রেজার দিয়ে বালু উত্তোলনের কারণে ভাঙনের শিকার হচ্ছেন নদীপাড়ের বাসিন্দারা। ভাঙনরোধে সরকার শত শত কোটি টাকা ব্যয় করলেও ভাঙন পুরোপুরি থামানো যায়নি। উপরন্তু বালু বিক্রি করে প্রতি বছর শত শত কোটি টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে একটি চক্র। সরকার হারাচ্ছে কোটি কোটি টাকার রাজস্ব।
বক্তারা আরও বলেন, এখলাছপুর ইউনিয়নের ৭, ৮ ও ৯ নম্বর ওয়ার্ডের প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকায় মেঘনার ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। গত বছর বর্ষার ভাঙনে ওই এলাকার সহস্রাধিক হেক্টর জমি ও শত শত ঘরবাড়ি বিলীন হয়ে গেছে। ঘরবাড়িহারা পরিবারগুলো এখন মানবেতর জীবনযাপন করছে। এবার বর্ষার শুরুতে আবারও ভাঙন দেখা দেওয়ায় সবার মধ্যে ভাঙন আতঙ্ক দেখা দিয়েছে।
বক্তারা আরও জানান, ৫ বছর ধরে ব্যাপকভাবে ভাঙছে মেঘনা নদী। এ ভাঙনের মুখে আছে গ্রামের এক-দেড় হাজার পরিবার। দ্রুত ভাঙন রোধ করতে না পারলে যে কোনো সময় গ্রামগুলো নদীতে বিলীন হয়ে যেতে পারে। প্রতিনিয়ত পাড় ঘেঁষে বালু উত্তোলনের ফলে এ ভাঙনের সৃষ্টি হয়েছে অভিযোগ করে স্থানীয়রা।
এ সময় এখলাছপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মফিজুল ইসলাম মুন্না ঢালী বলেন, নদী ভাঙনের হাত থেকে ৩টি ওয়ার্ডকে রক্ষা করতে হলে এখনই জিও ব্যাগ বরাদ্দ দিতে হবে। টেকসই তীর সংরক্ষণের মাধ্যমে এখনই লোকালয় রক্ষা করা না হলে কয়েক হাজার পরিবার বাস্তুভিটাহারা হবে। তিনি আরও বলেন, বন্যার অতিরিক্ত পানির চাপে বেশ কিছু অংশে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে। সেসব স্থানে জরুরিভাবে জিও ব্যাগ স্থাপন করা প্রয়োজন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মামুন হাওলাদার জানান, ভাঙন পরিস্থিতি দেখে তারা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন।