দরজায় কড়া নাড়ছে পবিত্র মাহে রমজান। সমগ্র মুসলিম জাতির জন্য শ্রেষ্ঠ মাস এই মাহে রমজান। মাহে রমজান আসার অনেক আগে থেকেই এই মাসকে নিয়ে থাকে অনেক পরিকল্পনা। সে পরিকল্পনার একটা বড় অংশ হচ্ছে মাহে রমজানের খাওয়া-দাওয়া। কীভাবে খাবার খেলে কোনো রকম জটিলতা ছাড়াই রোজা রাখা যাবে, সেটা বেশ গুরুত্বপূর্ণ।
মাহে রমজানে বিশ্বের সব দেশের মুসলিমরা ইফতার ও সাহ্রিতে হরেক রকম খাবারের আয়োজন করে থাকেন। তবে রমজানে একটু বুঝেশুনে খেতে হবে।
বাংলাদেশ যেহেতু ছয় ঋতুর দেশ, তাই খাবার আয়োজনের ক্ষেত্রে সেটাও বিবেচনায় রাখতে হবে। গ্রীষ্মকালীন রোজার দৈর্ঘ্য হবে প্রায় ১৫ ঘণ্টা। এই দীর্ঘ সময় রোজা রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে খাদ্যতালিকা সাজাতে হবে।
যেমন হবে ব্যবস্থাপনা
ইফতারপর্ব
পানীয়
ইফতারে কোনো মিষ্টিজাতীয় খাবার খাবেন না। শরবত হিসেবে চিনি ছাড়া লেবুপানি বা ডাবের পানি পান করতে পারেন। ২৫০ মিলিলিটার বেল বা তরমুজ অথবা পেঁপে কিংবা আনারসের জুস খাবেন। ইফতারে এক গ্লাস চিনি ছাড়া লাচ্ছি হতে পারে দারুণ উপযোগী একটি পানীয়।
ডায়াবেটিস আছে যাঁদের, তাঁদের জন্য ফলের রস খুব উপকারী। সারা দিন রোজা রাখার ফলে রক্তে চিনির স্তর বেশ কমে যায়। তখন চিনির শরবত খেলে চিনির স্তর দ্রুত বেড়ে যায়। কিন্তু ফলের রস খেলে রক্তে চিনির স্তর খুব ধীরে ধীরে বাড়ে। এতে ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে থাকবে। তবে কোনো কিছু মিষ্টি করে খেতে মন চাইলে ডায়াবেটিক সুগার দেওয়া যাবে। এ ছাড়া চিনি ছাড়া লেবুপানি, ডাবের পানি এগুলো বেশি বেশি খাবেন।
ফল
ইফতারে নিচের খাবারগুলোর যেকোনো একটি অংশ বেছে নিতে পারেন।
অথবা
অথবা
অথবা
অথবা
অথবা
অথবা
সাহ্রি
স্বাভাবিক সময়ের দুপুরের খাবারটাই সাহ্রিতে খাবেন।
ভাত, মাছ বা মাংস, সবজি, ডাল। অনেকে সাহ্রিতে দুধভাত খেতে পছন্দ করেন। চাইলে সাহ্রিতে দুধভাতও খেতে পারেন।
রাতের খাবার
স্বাভাবিক সময় সকালের খাবারের অর্ধেক পরিমাণ খাবার খেতে পারেন রাতে।
এক থেকে দুইটি ছোট পাতলা আটার রুটি, এক কাপ ভাত, ঘন ডাল বা ডিম অথবা মাছ কিংবা মাংস ও সবজি।
নির্দেশনা
লেখক: পুষ্টিবিদ, চট্টগ্রাম ডায়াবেটিক জেনারেল হাসপাতাল