বান্দরবান পৌরসভায় মো. জসিম নামের এক ব্যক্তি বিরুদ্ধে সরকারি রাস্তা অবৈধভাবে দখলের অভিযোগ পাওয়া গেছে। পৌরসভার ১ নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বালাঘাটা এলাকার এ ঘটনা ঘটে। রাস্তায় খুঁটি দেওয়ায় ওই এলাকায় বসবাসকারীরা দুর্ভোগে পড়েন।
এ ছাড়া অবৈধ দখল থেকে সরকারি রাস্তা উদ্ধারে পৌরসভার কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে গেলে তাঁদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করছেন বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। তবে এসব অস্বীকার করে মো. জসিম বলেন, ‘আমাদের জায়গায় পৌরসভা অবৈধভাবে রাস্তা নির্মাণ করেছিল। তাই আমাদের জায়গা দখলে নিয়েছি।’
পৌরসভার কর্মকর্তা ও স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের পশ্চিম বালাঘাটা এলাকার প্রভাবশালী জসিম ও তাঁর লোকজন পৌরসভার নির্মিত দীর্ঘদিনের পুরোনো ইটের রাস্তায় খুঁটি দিয়ে রাস্তা দখলের চেষ্টা করেন। এ খবর পেয়ে পৌরসভার কাউন্সিলর নাসির উদ্দিন ও স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে যান। তাঁরা রাস্তা থেকে খুঁটি সরানোর অনুরোধ জানান। এ সময় তাঁরা পৌর কাউন্সিলরসহ কর্মকর্তাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করেন বলে জানা যায়। তবে কাউন্সিলর, পৌর কর্মকর্তা ও স্থানীয়দের চাপে রাস্তা থেকে খুঁটি সরিয়ে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও গত শনিবার পর্যন্ত খুঁটি সরিয়ে নেননি বলে জানা গেছে। এতে ওই রাস্তায় চলাচল করা ১৫ পরিবার চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন।
ওই এলাকার বাসিন্দা জিয়াউল, মোহাম্মদ আলী ও শাহীন আক্তার। তাঁরা বলেন, দখলকারীরা রাস্তাটি নিজেদের দাবি করে তাঁদের কাছে মোটা অঙ্কের টাকা দাবি করেন। তাঁদের চাহিদামতো টাকা না দেওয়ায় রাস্তায় খুঁটি দিয়ে চলাচলে বাধার সৃষ্টি করেন। মৌখিকভাবে কাউন্সিলকে জানানার পর কাজ না হওয়ায় পৌরসভার কাউন্সিলর ও কর্তৃপক্ষকে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগীরা।
এ ব্যাপারে স্থানীয় কাউন্সিলর নাছির উদ্দিন বলেন, পৌরসভার অর্থায়নে সরকারি রাস্তা নির্মাণ করা হয়। কিন্তু জসিম ও তাঁর লোকেরা সে রাস্তায় অবৈধভাবে খুঁটি দিয়েছেন। বিষয়টি পৌরসভা ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
পৌরসভার সচিব তৌহিদুল ইসলাম বলেন, ‘পৌরসভার সরকারি রাস্তা দখল করে খুঁটি দিয়ে চলাচল বিঘ্ন করার অভিযোগ পেয়েছি। সেখানকার কয়েক পরিবার দুর্ভোগে পড়েছেন। তবে তাৎক্ষণিক পৌর কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা নিতে পারেনি। বিষয়টি আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে অবহিত করা হয়েছে। দ্রুত আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। রাস্তাটি চলাচলের জন্য খুলে দেওয়া হবে।’