পরিবারের সদস্যরা বলছেন, মেহেবুল্লাহ তৌসিক (২১) ছাত্র হিসেবে মেধাবী, কিন্তু তিনি হতাশাগ্রস্ত ছিলেন। কী নিয়ে হতাশা সে কথাও কাউকে বলেননি তিনি। চাপা স্বভাবের তৌসিফ কথা বলতেন কম, বন্ধুবান্ধবের সঙ্গেও অন্তরঙ্গ ছিল না। তাই কী অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন, সে ব্যাপারে ধারণা নেই কারও।
গত মঙ্গলবার দিবাগত রাত ১টার দিকে হাতিরঝিল-সংলগ্ন মহানগর প্রজেক্টের একটি বাসা থেকে তৌসিফের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এক সপ্তাহ আগে তিনি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ম্যানেজমেন্ট বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন। হাতিরঝিল থানার এসআই নজরুল ইসলাম জানান, খবর পেয়ে ওই বাসার ড্রয়িং রুমের ফ্যানের হুকের সঙ্গে নাইলনের রশি দিয়ে ঝুলন্ত অবস্থায় লাশটি উদ্ধার করা হয়। ময়নাতদন্তের জন্য তৌসিফের লাশ ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ বলছে, ধারণা করা হচ্ছে তিনি আত্মহত্যা করেছেন। তবে ময়নাতদন্ত রিপোর্ট পাওয়ার পর মৃত্যুর কারণ সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
তৌসিফ পটুয়াখালী জেলার দশমিনার দক্ষিণ আদমপুরে মেজবাউদ্দিনের ছেলে। ঢাকা কমার্স কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করে তিনি জবিতে ভর্তি হন। পাঁচ দিন আগে ঢাকায় এসে মহানগর প্রজেক্টে চাচার বাসায় ওঠেন তিনি। পুরান ঢাকায় ক্যাম্পাসের পাশে বাসা খুঁজছিলেন তৌসিফ।
তাঁর বড়ভাই মিরাজুল হোসেন বলেন, তৌসিফ হতাশাগ্রস্ত ছিল। কারও সঙ্গে কিছু শেয়ার করত না। এর আগেও পরীক্ষা দিতে না পারায় একবার আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিল তৌসিফ। মিরাজুল আরও জানান, কয়েক দিন আগে চাচা-চাচি গ্রামে গেছেন। তৌসিফ এবং চাচাতো ভাই রিয়াদ বাসায় ছিলেন। গতকাল দুপুরে বাইরে যান রিয়াদ। রাত ১০টার দিকে বাসায় ফিরে ডাকাডাকি করেও তৌসিফের সাড়া না পেয়ে রিয়াদ হাতিরঝিল থানায় খবর দেন। পুলিশের সহায়তায় দরজা খুলে ভেতরে ঢুকে তৌসিফের ঝুলন্ত লাশ দেখতে পান।