কলম্বিয়ার নোবেলজয়ী ঔপন্যাসিক গ্যাব্রিয়েল গার্সিয়া মার্কেজের ‘শত বছরের নিঃসঙ্গতা’র চরিত্র উরসুলার মতো ইউরোপের বেশ কয়েকটি লিগও এখন বর্ষীয়ান বুড়ো। তবে বয়স বাড়লেও এখনো তারুণ্য ধরে রেখেছে ফুটবল। নিঃসঙ্গ হওয়ার সময়ওবা কোথায় তার!
তবে আজ থেকে ৬৩ বছর আগে ইউরোপের শীর্ষ ফুটবলের চার লিগে এক বড় পরিবর্তন এসেছিল। ১৯৬০ সালে কমিয়ে আনা হয় কোচদের রাজত্বের মেয়াদ। যেন রাজতন্ত্র ছেড়ে গণতন্ত্রের পথে হাঁটতে থাকে ফুটবল। শুরুর দিকে একেক কোচ সেই সিংহাসনে বসলে আর নড়াচড়া করতেন না। অথচ ফুটবল কোচ নাকি দুই প্রকার। কেউ চাকরিচ্যুত, কেউবা চাকরি হারাতে চলেছেন।
কোচ ফ্রেড এভেরিসের কথায় ধরুন। ১৯০২ সালের ১ আগস্টে ইংলিশ ক্লাব ওয়েস্টব্রমের প্রধান কোচ হিসেবে দায়িত্ব পেয়েছিলেন। এরপর পুরো জীবনটাই কাটিয়ে দিলেন ক্লাবটিতে। পুরো ৪৫ বছর ১০ মাস ওয়েস্ট ব্রমের কোচ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এই ইংলিশ কোচ। ছাড়েন ১৯৪৫ সালের ৩১ মে। ক্লাব ও জাতীয় দলের কোচদের ইতিহাসে তাঁর চেয়ে আর কাউকে এত বেশি বছর দায়িত্বে দেখা যায়নি।
এই তো গত পরশু ফ্রান্সের সঙ্গে আরও তিন বছরের চুক্তি করেছেন দিদিয়ের দেশম। ২০১২ সালে ফরাসিদের দায়িত্ব নিয়েছিলেন তিনি। তবে জাতীয় দলে সর্বোচ্চ সময় কোচের দায়িত্বে থাকার তালিকায় বেশ পিছিয়ে দেশম। ২০২১ সালে দায়িত্ব ছাড়ার আগেও যেখানে ১৫ বছর ৮ মাস উরুগুয়েকে সামলেছেন অস্কার তাবারেজ। তবে জাতীয় দলে সর্বোচ্চ সময় কোচিং করানোর দায়িত্বে তিনি আছেন ছয়ে। এই তালিকায় শীর্ষে ১৮ বছর ১০ মাস আর্জেন্টিনার ডাগআউটে দাঁড়ানো গুইলার্মো স্তাবিলে।