চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) আলোচিত ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম এবার নিজ দল আওয়ামী লীগের প্রতিবাদের মুখে পড়েছেন। পরিবেশ আইনবিদ সমিতির (বেলা) প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িতে ঢিল ছোড়ার মামলার এই আসামির বিরুদ্ধে পাহাড় কাটাসহ বিস্তর অভিযোগ রয়েছে।
জহুরুল আলম জসিম নগরীর ৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডের কাউন্সিলর। সম্প্রতি পাহাড়তলী ও আকবরশাহ থানা এবং ওয়ার্ড কমিটির অধিকাংশ নেতা তাঁর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়েছেন প্রকাশ্যে। এরই বহিঃপ্রকাশ দেখা যায় গত মঙ্গলবার। মাদক-সন্ত্রাস প্রতিরোধ ও পরিবেশ সুরক্ষা আন্দোলন নামের একটি সংগঠনের ব্যানারে স্থানীয় আওয়ামী লীগের নেতারা প্রতিবাদস্বরূপ গণ-পথসভা করে জসিমের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার দাবি জানান।
হাইকোর্টের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে চট্টগ্রাম নগরীর আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় কাটা, খাল, ছড়া ও লেক ভরাট করে প্লট বাণিজ্য, পাহাড়ের মাটি বিক্রি ও পাহাড় কেটে খামার নির্মাণের মতো পরিবেশ বিধ্বংসী কাজের সঙ্গে জড়িত বলে বক্তারা দাবি করেন।
নগরীর আকবরশাহ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী আলতাফ হোসেন বলেন, ‘ওই এলাকায় কে বা কার সহযোগীরা পাহাড় কাটে তা দিনের মতো পরিষ্কার। তাঁদের বিরুদ্ধেই আমাদের প্রতিবাদ।’
৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক সৈয়দ সরোয়ার মোর্শেদ কচির। তিনি বলেন, চসিকের নাম ব্যবহার করে চিহ্নিত পাহাড়খেকো, সরকারি সম্পত্তি লুটপাটকারী ও এলাকায় মাদক-সন্ত্রাসের সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হোক।
কাউন্সিলর জহুরুল আলম জসিম বলেন, ‘আমার রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবেই আমার পেছনে লেগেছে। এসবের সঙ্গে আমি বা আমার লোকজন জড়িত না।’
গত ২৬ জানুয়ারি আকবরশাহ এলাকায় পাহাড় কাটার স্থান পরিদর্শনে গেলে বেলার প্রধান নির্বাহী সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের গাড়িতে ঢিল ছোড়েন কাউন্সিলর জহুরুল আলমের অনুসারীরা। এই ঘটনায়ও মামলা হয়।