পৌষ ও মাঘ মাসে দেশি মিষ্টি আলুর লতা রোপণ শুরু হয়। এ সময় চাষিরা বাজার থেকে লতা সংগ্রহ শুরু করেন। ভোলার চরফ্যাশন উপজেলায় বাজারগুলোয় চাহিদা বেড়েছে আলুর লতার। এক মুঠি লতা বিক্রি হচ্ছে ৩০ টাকায়। চলতি বছর ভালো দাম পাওয়ায় খুশি লতা বিক্রেতারা।
জানা যায়, সাধারণত অগ্রহায়ণ ও পৌষ মাসে মিষ্টি আলুর কাটিং লতা রোপণ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও এবার একটু দেরিতে শুরু হয়েছে। পৌষ মাস থেকে কাটিং লতা রোপণ শুরু হয়েছে। মাঘ মাসেও রোপণ করবেন চাষিরা। এতে চরফ্যাশন উপজেলায় বেড়েছে মিষ্টি আলুর কাটিং লতা বিক্রি। শশিভূষণ, দুলারহাট ও চরফ্যাশন থানা রোডসহ বিভিন্ন হাটে বিক্রি হচ্ছে মিষ্টি আলুর লতা।
বিক্রেতা শাহেদ আলি মিয়া বলেন, ‘প্রতি মৌসুমে ১০-১৫ হাজার টাকার এ লতা বিক্রি করি। ২০টি আলুর লতা দিয়ে মুঠি তৈরি করা হয়। প্রতি হাটে প্রায় ২০০ মুঠি লতা বিক্রি করি। এক মুঠি লতা ৩০ টাকা করে বিক্রি করা হয়।’
আবু-বকরপুর ইউনিয়নের লতা বিক্রেতা সবুজ মিয়া বলেন, ‘লতা ৮ ইঞ্চি করে কাটা হয়। প্রতি শতাংশে সাড়ে ৩ মুঠি লতা লাগে।’
ক্রেতা কামাল মিয়া বলেন, ‘প্রায় ৮০ শতাংশ জমিতে আলু চাষ করছি। স্বল্প খরচে চাষ করা যায় বলে ভালো লাভ হয়।’
উপজেলা কৃষি উপসহকারী ঠাকুর কৃষ্ণ বলেন, ‘এই মৌসুমে লতার চাহিদা বেশ ভালো। আলুর লতা চাষে খরচ ও পরিচর্যা তেমন একটা হয় না। গত মৌসুমে চরফ্যাশনে ৬১৫ হেক্টর জমিতে মিষ্টি আলু আবাদ করা হয়। তবে এ বছর আলুর লতা চাষের চাহিদা কিছুটা বেড়েছে।’