হোম > ছাপা সংস্করণ

‘স্বামী নাই, ঘর নাই, তবু না পাই ভাতা, না পাই ঘর’

অষ্টগ্রাম (কিশোরগঞ্জ) প্রতিনিধি

‘সারা দিন গাঁওয়ে গাঁওয়ে (গ্রাম) ভিক্ষা কইয়্যা, রাইতে ছোট মাইয়্যার ঘরে থাহি। সরকার যদি আমারে দয়া কইয়্যা একটা ঘর-বাড়ি দিত! মরণের আগে শান্তিতে কডাদিন থাকতে পারতাম। কতজন কত কী পায়! আমার স্বামী নাই, ঘর নাই, বাড়ি নাই। তারপরও না পাই ভাতা, না পাই ঘরবাড়ি। আর কবে পামু সরকারি সাহায্য?’ আক্ষেপ করে বলছিলেন ৯০ বছর বয়সী গৃহ ও ভূমিহীন বিধবা কমলা বেগম। তিনি কিশোরগঞ্জের অষ্টগ্রাম উপজেলার দেওঘর ইউনিয়নের সাভিয়ানগর গ্রামের মৃত আমুরোদ্দিনের স্ত্রী।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এক ছেলে ও দুই মেয়ের মা কমলা বেগম। ছেলে-মেয়েদের রেখে ১৯৯৭ সালে মারা যান ভূমিহীন আমুরোদ্দিন। স্বামীর মৃত্যুর পর অসহায় কমলার ভরণপোষণ না দিয়ে আলাদা থাকেন একমাত্র ছেলে। পরে ভূমিহীন ছোট মেয়ে গ্রামের পরিত্যক্ত বাড়ি বন্ধক নিয়ে টিনশেড ঘর করেন। সেখানে নাতনির সঙ্গে বাস করেন কমলা।

সারা দিন উপজেলার বিভিন্ন হাটবাজার ও গ্রামে ঘুরে করেন ভিক্ষা করে যা পান তা দিয়েই চলে সংসার। বড় মেয়ে ও নাতনিও বিধবা। ছোট মেয়ে চাতাল শ্রমিক, তাঁর স্বামী অসুস্থ। থাকেন আশুগঞ্জ চাতালে। এত অসহায় হওয়ার পরেও পাননি বয়স্ক বা বিধবা ভাতার কার্ড। পাননি প্রধানমন্ত্রীর উপহারের জমি ও ঘর।

কমলা বেগম বলেন, ‘সরকার দয়া করে আমারে যদি একটা ঘর দেয়, আমি মরার আগে শান্তি কইর‍্যা থাকতে পারমু। জায়গার মালিক এ্যাইহান থেইক্কা (এখান থেকে) যাইতেগা কইতাছে। নতুন কোনোখানে যাওনেরও জায়গা নাই। কী করমু বুঝি না।’

উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো. আলমাছ উদ্দিন বলেন, ‘বিষয়টি খোঁজ নিয়ে দেখব। দেওঘর ইউনিয়নে আশ্রয়ণ প্রকল্প বাস্তবায়নের সময় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ