হোম > ছাপা সংস্করণ

খোঁড়াখুঁড়িতে নাভিশ্বাস

আবু বকর ছিদ্দিক, চট্টগ্রাম

নানা সংস্থার খোঁড়াখুঁড়িতে অতিষ্ঠ চট্টগ্রামবাসী। খানাখন্দে ভরা সড়কে লেগেই আছে যানজট। সঙ্গে ধুলাবালির কারণে নগরবাসীর উঠছে নাভিশ্বাস। ক্রমেই যেন বসবাসের অযোগ্য হয়ে উঠছে বন্দরনগরী।

নগরীর প্রধান বাণিজ্যিক এলাকা আগ্রাবাদমুখী সড়কের দেওয়ানহাট থেকে আগ্রাবাদ অংশে চলাচল করাই কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে। এ ছাড়া বন্দর, কাস্টমস হাউস, ইপিজেড, বিমানবন্দরমুখী সড়কের অবস্থাও একই। ভাঙাচোরা সড়কের কারণে যানবাহনের গতি হয়ে যায় ধীর। ধুলাবালির কারণে শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগ বাড়ছে।

চট্টগ্রামের প্রবেশপথ হিসেবে খ্যাত অলংকার থেকে বড়পোল পর্যন্ত সড়কে কয়েক বছর ধরেই চলছে সংস্কারকাজ। এ সব সড়ক দিয়ে যাতায়াতকারী লাখো মানুষের দুর্ভোগ এখন নিত্যদিনের সঙ্গী।

ধুলাবালির কারণে মানুষের অ্যাজমাসহ নানা রোগব্যাধি বাড়ছে বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক অনিরুদ্ধ ঘোষ। তিনি আজকের পত্রিকাকে বলেন, চট্টগ্রাম মহানগরে রাস্তায় অত্যধিক ধূলিকণার কারণে মানুষের মধ্যে অ্যাজমা ও শ্বাসকষ্টজনিত ফুসফুসের রোগ বাড়ছে।

সরেজমিনে দেখা গেছে, দেওয়ানহাট মোড় থেকে মিঠা গলির মুখ পর্যন্ত ২০ দিন ধরে গ্যাসের লাইন মেরামতের জন্য রাস্তা কেটেছে কর্ণফুলী গ্যাস ডিস্ট্রিবিউশন কোম্পানি। এতে তীব্র যানজটের সৃষ্টি হচ্ছে। দেওয়ানহাট থেকে আগ্রাবাদ-বাদামতলি-বারিক বিল্ডিং মোড় থেকে ফকিরহাট-নিমতলা পর্যন্ত প্রতিদিন বন্দরমুখী ট্রাক-কাভার্ড ভ্যানের জট লেগেই আছে। একই অবস্থা নগরীর অলংকার সাগরিকা রাস্তার মাথা থেকে নয়াবাজার পর্যন্ত রাস্তার। এখানে যানজট, ধুলাবালি আর কাদায় নাকাল চলাচলকারীরা। বন্দরের পাঁচ নম্বর এমপিবি গেট থেকে সিইপিজেড গেট হয়ে সিমেন্ট ক্রসিং পর্যন্ত রাস্তা বেহাল। 
খোঁড়াখুঁড়ির কারণে সৃষ্ট যানজটে ঘণ্টার পর ঘণ্টা সময় নষ্ট হচ্ছে। পাশাপাশি ধুলাবালিতে নগরবাসীর জীবন দুর্বিসহ হয়ে উঠেছে। নগরীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এলাকা আগ্রাবাদে যাওয়াই কঠিন হয়ে উঠেছে বলে মন্তব্য করছেন নিয়মিত সেখানে যাতায়াত করা ব্যক্তিরা।

আগ্রাবাদের ব্যবসায়ী মো. ফখরুল ইসলাম বলেন, ‘খোঁড়াখুঁড়ির কারণে যানজট ও ধুলাবালিতে আমাদের জীবন অতিষ্ঠ। মনে হয় না, সরকারের কোনো সেবা সংস্থা আছে।’

অপরদিকে অক্সিজেন মোড়েও প্রায় ৬ মাস ধরে খোঁড়াখুঁড়ি চলছে। এ কারণে সন্ধ্যার পর হাটহাজারী থেকে চট্টগ্রামগামী যানবাহনের জট লেগেই থাকছে। বহদ্দারহাট মোড় থেকে কালুরঘাটমুখী সড়কের এক পাশে কাজ চলছে পাঁচ বছর ধরে।

এ বিষয়ে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মো. রফিকুল ইসলাম বলেন, ইস্টার্ন রিফাইনারি থেকে বিটুমিন সরবরাহ করতে না পারায় উন্নয়নকাজ ব্যাহত হচ্ছে। তবে আগামী জানুয়ারি মাসেই ভাঙাচোরা সড়ক মেরামত করা সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (চউক) প্রধান প্রকৌশলী হাসান বিন শামস জনদুর্ভোগের কথা স্বীকার করেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম ওয়াসা একই জায়গায় বারবার খোঁড়াখুঁড়ি করে। আধুনিক বিশ্বে উন্নত টেকনোলজি ব্যবহার করলেও ওয়াসা আদিম পদ্ধতিতে কাটাকাটি করে। এতে করে নাগরিকদের দুর্ভোগ বাড়ছে।’ 
এসব অভিযোগের বিষয়ে জানতে চট্টগ্রাম ওয়াসার ব্যবস্থাপনা পরিচালক একে এম ফজলুল্লাহ ও প্রধান প্রকৌশলী মো. মাকসুদ আলমের মোবাইল ফোন নম্বরে একাধিকবার কল দেওয়া হলেও তাঁরা ধরেননি।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) শ্যামল কুমার নাথ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘রাস্তায় যত্রতত্র পার্কিং, উন্নয়নকাজের জন্য এক পাশ বন্ধ রাখা ও একই সময়ে অফিস ও স্কুলগামীদের কারণে যানজট হয়।’ এ ছাড়া গাড়ির সংখ্যাও আগের তুলনায় অনেক বাড়াকেও কারণ হিসেবে মনে করেন তিনি। 

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ