বর্ষা মৌসুমে জমিতে পানি না থাকায় মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে দুশ্চিন্তায় পড়েছেন চাষিরা। উপজেলার বেশির ভাগ জমিতে এখন চাষিরা বোনা আমন ধান আবাদ করেন। এতে ধানের ফলন কম ও আলু আবাদের জমি উর্বর না হওয়ার আশঙ্কা করছেন তাঁরা। তবে কৃষি কর্মকর্তাদের মতে, কৃষিজমি ভরাট হওয়ায় জমিগুলোতে পানি আসা-যাওয়া করতে পারে না। এতে জমিতে ধান চাষে সমস্যা হচ্ছে।
জানা গেছে, উপজেলার লতব্দী ইউনিয়নের কংসপুরাসহ বিভিন্ন এলাকায় চলতি মৌসুমে ৩৫০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ হয়েছে। এ ছাড়া বোনা আমন আবাদ হয়েছে ৫ হাজার ১০০ হেক্টর জমিতে, কিন্তু জমিতে পানি নেই। এতে ধানের চারাগুলো শুকিয়ে গেছে। জমিতে যদি পানি না থাকে, তবে বোনা আমনের ফলন কম হবে। অন্যদিকে জমিতে যদি পানি কম হয়, রোপা আমনের ফসল ভালো হবে।
কংসপুরা গ্রামের কৃষক আলী হোসেন বলেন, ‘আমি কয়েক দিন আগে রোপা আমন ধানের চারা রোপণ করেছি। কিন্তু জমিগুলোতে পানি এসে চলে গেছে। এখন জমিগুলো শুকিয়ে গেছে। এ রকম তীব্র গরম থাকলে এবং পানি যদি না আসে, চারাগুলো আর বাঁচানো সম্ভব হবে না। সবগুলো চারা মরে যাবে এবং অনেক টাকার ক্ষতি হবে। এ ছাড়া আসছে মৌসুমে আলু রোপণ করতে আমাদের অনেক কষ্ট হয়ে যাবে।’
গোবরদী গ্রামের কৃষক মো. ইয়াসিন বলেন, ‘এবার বয়রাগাদী ইউনিয়নে বেশির ভাগ জমিতে পানি আসেনি। এতে বোনা আমন ধান না হওয়ার শঙ্কা রয়েছে এবং বোনা আমন না হলে আলুর জমি ডাকতে পারব না। এ ছাড়া পানি না এলে জমি উর্বর হবে না, আলুর ফলন কম হবে। আলু আবাদে আমাদের ব্যাপক ক্ষতি হবে। এতে খুব চিন্তা হচ্ছে। আল্লাহ যেন আমাদের জমিগুলোতে মোটামুটি করে পানি দেয়, তবে ফসল ফলাতে সমস্যা হবে না।’
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কৃষক বলেন, ‘বর্ষার পানি কৃষিজমির জন্য অনেক উপকারী। এবার যদি পানি না হয়, তবে আমনের ক্ষতি হবে।’
উপজেলা উপসহকারী উদ্ভিদ সংরক্ষণ কর্মকর্তা মোশারফ হোসেন বলেন, ‘এই বর্ষা মৌসুমে অনেক জমিতে পানি আছে, আবার অনেক জমিতে নেই। এর কারণ হচ্ছে, অনেক কৃষিজমি ভরাট হওয়ায় পানি আসা-যাওয়া করতে পারে না।’