কম খরচ, ভালো দাম, সরকারি প্রণোদনা এবং সাথি ফসল চাষ করে বাড়তি আয়ের সুযোগ থাকায় গম চাষে আগ্রহ বেড়েছে কুড়িগ্রামের ভূরুঙ্গামারীর কৃষকদের। চলতি মৌসুমে লক্ষ্যমাত্রার ৯৫ হেক্টর বেশি জমিতে গম চাষ হয়েছে উপজেলায়।
উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর জানায়, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১ হাজার ৮১৫ হেক্টর জমিতে গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা ধরা করা হয়েছিল। গমের আবাদ হয়েছে ১ হাজার ৯১০ হেক্টর জমিতে যা লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে বেশি।
গমের সঙ্গে সাথি ফসলের চাষ এবং গম কেটে নিয়ে পাট চাষের সুযোগ থাকায় ভূরুঙ্গামারীর কৃষকেরা এখন গম চাষে ঝুঁকছেন। উপজেলার ১০ ইউনিয়নের মধ্যে পাইকেরছড়া ইউনিয়নে সবচেয়ে বেশি গম চাষ হয়েছে। পাইকেরছড়ায় ২৮০ হেক্টর জমিতে গম চাষ হয়েছে।
তিলাই ইউনিয়নের পশ্চিম ছাট গোপালপুর গ্রামের কৃষক নূরে আলম সিদ্দিকী বলেন, ‘উঁচু জমিতে গম ভালো হয়। ভালো দামে গম বিক্রি করা যায়। গম কেটে ওই জমিতে পাট চাষ করা যাবে। কিছুদিন যাবৎ পাটের বাজার ভালো যাচ্ছে তাই গম চাষ করেছি যাতে গম তুলে পাট চাষ করতে পারি।’
ভূরুঙ্গামারী ইউনিয়নের কামাত আঙ্গারীয়া গ্রামের কৃষক শওকত আলী রাজু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘চার বিঘা জমিতে গম চাষ করেছি। গম গাছে রোগবালাই কম হয়। সেচসহ অন্যান্য খরচ কম লাগে। গমের সঙ্গে মুখিকচু চাষ করেছি।’
ভূরুঙ্গামারী উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আজকের পত্রিকাকে জানান, ‘কৃষি প্রণোদনার আওতায় কৃষকদের জনপ্রতি ২০ কেজি উন্নত জাতের গমবীজ এবং ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার দেওয়া হয়েছে।’
গম চাষের লক্ষ্যমাত্রা অর্জন করতে উপজেলা কৃষি বিভাগের পক্ষ থেকে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। অন্য ফসলের তুলনায় গম চাষের খরচ কম। দাম ভালো পাওয়ায় গম চাষে কৃষকদের আগ্রহ বেড়েছে।’