হোম > ছাপা সংস্করণ

মুখরোচক ঝুরিতে স্বাবলম্বী শাহজাদপুরের শতাধিক নারী

সিরাজগঞ্জ সংবাদদাতা

আবহমান গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যবাহী মুখরোচক খাবার ঝুরি। এই ঝুরি তৈরি করে নিজেদের ভাগ্য পরিবর্তন করেছেন সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলার কৈজুরি ইউনিয়নের হাটপাঁচিল গ্রামের যমুনার ভাঙনে ভিটে-মাটি হারানো শতাধিক নারী।

সরেজমিনে হাটপাঁচিল গ্রাম গিয়ে দেখা যায়, ওই গ্রামের বয়োজ্যেষ্ঠ মইতন, সুফিয়া, সাবিনা ও মমতাসহ বেশ কয়েকজন নারী ঝুরি তৈরি করতে ব্যস্ত সময় পার করছেন।

এ সময় কথা হলে তাঁরা জানান, কয়েক দফায় যমুনার পেটে বিলীন হয়েছে তাঁদের বাড়ি-ঘর। যমুনার তীরবর্তী এ গ্রামটি চরাঞ্চল হওয়ায় এখানে কোনো ফসলের আবাদও হয় না। পাশের গ্রামগুলোতেও জীবিকা নির্বাহের জন্য উল্লেখযোগ্য কোনো কাজ সচরাচর মেলে না। তাঁদের মতো কর্মহীন নারীদের দিন কাটছিল অতিকষ্টে, অর্ধাহারে-অনাহারে। এক সময় জীবিকার তাগিদে তাঁরা ঝুরি তৈরি ও বিক্রির কাজ বেছে নেন। এরপরই দিনবদলের পালা শুরু হয়। ঝুরি বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেন তাঁরা।

অনেকেই ঝুরি তৈরির পাশাপাশি বাড়িতে গরু-বাছুর, ভেড়া-ছাগল প্রতিপালন করে বাড়তি লাভ করছেন।

ঝুরি প্রস্তুতকারক আরও কয়েকজন নারী জানান, প্রতি কেজি ঝুরি ৮৫-৯০ টাকায় বিক্রি হয়। প্রতিদিন একজন নারী এক মণ করে ঝুরি তৈরি করতে পারেন। কেজিতে ১৫-২০ টাকা লাভ থাকে। তবে ঝুরি তৈরির উপকরণের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় ইদানীং লাভের পরিমাণ কিছুটা কমেছে।

উপজেলা মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রেখা মনি পারভিন জানান, নারীর ক্ষমতায়নে সরকার নানা উদ্যোগ নিয়েছে। উদ্যোক্তা তৈরিতে নারীদের নানাভাবে সহযোগিতা করা হচ্ছে।

ইউএনও শাহ মো. শামসুজ্জোহা জানান, নদী ভাঙন কবলিত অনেক নারী ঝুরি তৈরি করে সংসার চালাচ্ছেন। সরকারিভাবে কোনো সুযোগ-সুবিধা আসলে তাঁদের সহযোগিতা করা হবে।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ