হোম > ছাপা সংস্করণ

আরেক যুদ্ধ

সম্পাদকীয়

অনেক কাঠখড় পুড়িয়ে ১৯৭১ সালের এপ্রিলের শেষে বুলবুল মহলানবীশরা এসে পৌঁছালেন আগরতলার কৃষ্ণনগরে। আশ্রয় নিলেন ধীরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর বাড়িতে। ১৯ সদস্যের বিশাল পরিবারকে আশ্রয় দিলেন তিনি।

কিছুদিন থাকার পর ১৯ সদস্যের পরিবারের এক এক জন এক এক দিকে ছড়িয়ে পড়তে লাগলেন।

তিন দিন ট্রেন জার্নি করে বুলবুল গেলেন বহরমপুরে। এরপর মধ্যপ্রদেশের রায়পুরে। তারপর কাঁচরাপাড়া। একদিন সেজ মামা একটা পেপার কাটিং দেখালেন বুলবুলকে। সেটা ছিল জুন মাসের শুরু। সেই পেপার কাটিংয়ে লেখা: আকাশবাণী কলকাতার ‘পূর্বাঞ্চলীয় শ্রোতাদের জন্য’ অনুষ্ঠানে অডিশন নেওয়া হবে। ইডেন গার্ডেনের আকাশবাণী ভবনে ছুটলেন তিনি। অডিশন দিয়ে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলেন, ‘আমি কি ফেল করেছি?’

পরীক্ষক বিমল ভূষণ হেসে বললেন, ‘সবাই জিজ্ঞেস করে পাস করেছি কি না, আর তুমি জিজ্ঞেস করছ ফেল করেছ কি না? কী মনে হচ্ছে?’ অন্য পরীক্ষক অরুণ দত্ত বললেন, ‘তুমি তো খুব ভালো গান কর। যে গানগুলো গাইতে ভালো লাগে, এ রকম ৮-১০টা গান খুব ভালো করে প্র্যাকটিস করে আসবে।’

কিন্তু রেকর্ডিংয়ের দুদিন আগে থেকে জ্বর-সর্দিতে গলা বসে গেল বুলবুলের। কাশতে কাশতে যেন গলার রগ ছিঁড়ে যাচ্ছে। কোনো ওষুধই কাজ হচ্ছে না। এই অবস্থায়ই চলে গেলেন আকাশবাণীতে। অনুরোধ করলেন, কয়েকটা দিন পর রেকর্ডিং করা যাবে কি না। বিমল ভূষণ বললেন, ‘ঠিক আছে, একটা গান করো। যদি ভালো না হয়, তবে আরেক দিন করব।’

তারপর চায়ের জন্য তিনি দুটো কাপ দিতে বললেন। পাঞ্জাবির পকেট থেকে একটা কৌটো বের করে শিকড়ের মতো কিছু জিনিস দিয়ে বললেন, ‘খাওয়ার পর এটা মুখে রাখবি।’

এবং কী আশ্চর্য! গান গাওয়ার সময় কাশি গেল উবে, গলা গেল খুলে! রেকর্ডিং শুরু হলো।

এরপর কী করে তিনি যোগ দিলেন রূপান্তরের গানের দলে, সে হলো এই কাহিনিরই সম্প্রসারণ।

সূত্র: বুলবুল মহলানবীশ, স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের ইতিহাস, পৃষ্ঠা: ১১৫-১১৮

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ