গাজীপুরের শ্রীপুরে একটি বসতবাড়ির শৌচাগার থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। গতকাল রোববার সকাল নয়টার দিকে নিখোঁজ হওয়ার তিন ঘণ্টা পর শিশু পরিচয় শনাক্ত করেন তার মা মনোয়ারা খাতুন।
পরে সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে হত্যার সঙ্গে জড়িত সন্দেহে শিশুর দুলাভাই মাজাহারুল ইসলামকে (৩৮) আটক করছে শ্রীপুর থানা-পুলিশ। তবে তিনি খুনের সঙ্গে জড়িত নয় বলে দাবি করেছেন তাঁর স্ত্রী ও শিশুর বোন বিপাশা আক্তার।
গতকাল সকালে শ্রীপুর পৌরসভার ৭ নম্বর ওয়ার্ডের বেড়াইদের চালা গ্রামের মনিরুজ্জামান শীতলের বসতবাড়ির শৌচাগার থেকে শিশুর মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
মো. তৌফিকুল ইসলামের (৬) শিশুটি নেত্রকোনার সদর উপজেলার নয়াপাড়া গ্রামের মো. মানিক মিয়ার ছেলে। সে গত শুক্রবার বাবা-মার সঙ্গে শ্রীপুরে আসে। তার বাবা ও মা পেশায় দিনমজুর।
আটক মাজাহারুল ইসলাম নেত্রকোনার সদর উপজেলা সাহাপুর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি শ্রীপুর পৌরসভার সিঅ্যান্ডবি বাজারের একটি ওয়ার্কশপে শ্রমিকের কাজ করেন।
শিশুর মা বলেন, ‘আমার স্বামী ও আমি মানুষের বাড়িতে কাজ করি। শুক্রবার সকালে নেত্রকোনা থেকে সন্তানসহ আমরা স্বামী-স্ত্রী কাজের খোঁজে শ্রীপুরে আসি। এসে শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদের চালা গ্রামের শ্রীপুর টেক্সটাইলের পেছনে সিদ্দিক মিয়ার বাড়িতে উঠি।আজ (রোববার) সকাল নয়টা থেকে আমার শিশুপুত্র নিখোঁজ ছিল। মানুষের মুখে শুনে এসে জানতে পারি, আমার ছেলেকে খুন করেছে।’
শিশুর বোন বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজে যে ছবি দেখা যাচ্ছে, সেটি আমার স্বামীর না। আমার স্বামী কেন আমার ভাইকে খুন করবে?’
শ্রীপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ হোসেন বলেন, ‘সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে শিশুকে খুনের সন্দেহভাজন হিসেবে মাজাহারুল ইসলামকে আটক করা হয়েছে। তিনি নিহতের দুলাভাই।’