চট্টগ্রামের ফটিকছড়িতে বাবা-ছেলেকে হত্যার ঘটনায় গ্রেপ্তার আরেক আসামি এ ঘটনায় জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন। গত সোমবার পাহাড়তলী এলাকা থেকে এই মামলার পলাতক আসামি মো. জসিম উদ্দিন ওরফে মানিককে গ্রেপ্তার করা হয়। গতকাল চট্টগ্রাম আদালতে তিনি ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন।
পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) চট্টগ্রাম জেলার সুপার নাজমুল হাসান বলেন, গত সোমবার পাহাড়তলী এলাকা থেকে জসিমকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি দীর্ঘদিন ধরে পলাতক ছিলেন। পরে তাঁর দেওয়া তথ্যে, ফটিকছড়ির নিশ্চিন্তপুর এলাকায় পাহাড়ের পাদদেশ থেকে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত দা উদ্ধার করা হয়েছে। গ্রেপ্তার জসিম ফটিকছড়ি উপজেলার মানিকপুর গ্রামের বাসিন্দা।
পিবিআই জানায়, গত বছর ২৮ সেপ্টেম্বর নিজ এলাকা থেকে নিখোঁজ হন ফকির আহাম্মদ (৩৩)। পরদিন সকালে স্থানীয় দুইদ্যাখালে তাঁর গলাকাটা লাশ পাওয়া যায়। এ ঘটনায় নিহতের বাবা এজাহার মিয়া (৭০) বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। চলতি বছরের ২৪ জুন নিখোঁজ হন ফকিরের বাবা এজাহার মিয়াও (৭০)। পরদিন বিকেলে ছেলের মতো তাঁর গলাকাটা লাশও জমির পাশে একটি বাঁশঝাড়ের নিচে পাওয়া যায়। এ ঘটনায় তাঁর স্ত্রী নাছিমা বেগম বাদী হয়ে ফটিকছড়ি থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। উভয় মামলাটি বর্তমানে তদন্ত করছেন পিবিআই।
মামলাটির তদন্ত কর্মকর্তা মো. কামাল আব্বাস আজকের পত্রিকাকে বলেন, ত্রিমুখী শত্রুতার কারণে বাবা-ছেলের হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে।
পিবিআই জানায়, ১২ বছর আগে ফটিকছড়ি উপজেলার মানিকপুর গ্রামের ফকির আহাম্মদের সঙ্গে প্রতিবেশী রুবিজার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। সময় গড়ানোর সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের প্রেম গভীর হয়। লোকমুখেও বিষয়টিও ছড়িয়ে পড়ে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রুবিজার বাবা সুলতান আহমদ তাঁর মেয়েকে ঘরে তোলার প্রস্তাব নিয়ে যান ফকির আহাম্মদের বাবা এজাহার মিয়ার কাছে। কিন্তু এজাহার এতে রাজি হননি।