গাজীপুরের টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর সেতুর কিছু অংশ ভেঙে যাওয়ায় চলছে সংস্কার। তার আগেই সেতুটিতে যান চলাচলের পাশাপাশি পথচারীর চলাচলও বন্ধ করা হয়েছে। তবে সেতু বন্ধ থাকায় এর প্রবেশ মুখে বসেছে অস্থায়ী বাজার। আর এ বাজার থেকে চাঁদা ওঠানোর অভিযোগ উঠছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, গত ১০ নভেম্বর ভোরে টঙ্গী-আবদুল্লাহপুর সেতুর কিছু অংশ ভেঙে যায়। ভাঙা অংশে স্টিলের পাত বসিয়ে সেতুর এক পাশ দিয়ে শুরু হয় যান চলাচল। পরের দিন সেতুর অন্য অংশে ভাঙন দেখা দিলে যান ও সাধারণের চলাচল বন্ধ করে দেয় সেতু কর্তৃপক্ষ।
এরপর স্থানীয় প্রভাবশালীরা সেতুর সামনের সড়কের দুই পাশে বাজার বসিয়েছেন। এতে শাক-সবজিসহ নানা ধরনের দোকান বসিয়েছেন তাঁরা। আর এ সব দোকান থেকে প্রতিদিন ৬০ টাকা থেকে ১০০ টাকা তোলা হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।
জেলার কালীগঞ্জ থেকে নানা ধরনের সবজি নিয়ে সড়কের এক পাশে দোকান বসিয়েছেন আওলাদ হোসেন। আগে তিনি টঙ্গী বাজারের ভেতরে কাঁচামালের ব্যবসা করতেন। গত রোববার থেকে সেতুর সামনের সড়কে সবজি বিক্রি করছেন। বিনিময়ে পুলিশের তাঁর কাছ থেকে চাঁদা নেওয়া হচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
শাক-সবজি ছাড়া অন্যান্য পণ্যের দোকানও বসানো হয়েছে এখানে। কাঁকড়া বিক্রেতা রবিউল বলেন, ‘দুই ঝুড়ি করে কাঁকড়া নিয়ে বিক্রি করতে এসেছি। সড়কের পাশে বসতেই একজনকে ১০০ টাকা দিতে হলো। এখনো পঞ্চাশটি কাঁকড়া বিক্রি করতে করতে পারিনি’।
অপরদিকে সেতুর একপাশে সাপের খেলা ও কবিরাজি ওষুধ বিক্রি করা হচ্ছে। এতে তৈরি হওয়া জনসমাগমে চলাচলের রাস্তা সরু হয়ে গেছে।
টঙ্গীর বিসিক এলাকার একটি পোশাক কারখানার মানবসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তা হাবিবুর রহমান। তিনি বলেন, ভাঙা সেতুটির সামনের সড়কের দুই পাশে দোকান বসানোয় চলাচলে সমস্যা হচ্ছে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটনের পুলিশের (জিএমপি উপকমিশনার (অপরাধ দক্ষিণ) ইলতুৎ মিশ বলেন, ‘এমন ঘটনা জানা নাই। তবে পুলিশের পক্ষ থেকে চাঁদা তোলে এটা সঠিক নয়।’