তিতাস উপজেলার নারান্দিয়া ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনকে কেন্দ্র করে চেয়ারম্যান পদে আওয়ামী লীগের প্রার্থী ও স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এতে দুজন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। গত সোমবার সন্ধ্যায় আসমানিয়া বাজার চৌরাস্তায় এ ঘটনা ঘটে।
এ সময় দুটি দোকান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে ভাঙচুর করা হয়। আহতরা হলেন শাহজালাল শাকু (৩৫) ও হারুন (৪০)।
আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি আরিফুজ্জামান খোকা বলেন, ‘আমি এলাকায় ছিলাম না। সন্ধ্যায় আমার কর্মীরা চৌরাস্তা মোড়ে আওয়ামী লীগ কার্যালয়ে বসে ছিল। এ সময় আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিনের লোকজন এসে অফিসে হামলা করে আসবাবপত্র ভাঙচুর করে। আমার কর্মী হারুনকেও মারধর করে।’
এ দিকে বর্তমান চেয়ারম্যান স্বতন্ত্র প্রার্থী সালাহ উদ্দিন আহম্মেদ বলেন, ‘আমার জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে আরিফুজ্জামান খোকার কর্মীরা লাঠিসোঁটা নিয়ে মিছিল বের করে। এ সময় আমার এক কর্মীকে মারধর করাসহ দুটি দোকান ভাঙচুর করে। এখন উল্টো আমার ও কর্মীদের নামে মামলা করার পাঁয়তারা করছে।’
তিতাস থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুধীন চন্দ্র দাস বলেন, ‘খবর পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি। এখন পরিস্থিতি শান্ত আছে।’