নির্মাণসামগ্রীর দাম না কমালে কাজ বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছে রংপুর ঠিকাদার সমিতি। গতকাল শনিবার দুপুরে নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এই হুমকি দেওয়া হয়।
রড, সিমেন্ট, পাথর, বিটুমিনসহ সব ধরনের নির্মাণসামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিক হারে বৃদ্ধির প্রতিবাদে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়। এতে সিন্ডিকেট ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া এবং মূল্য কমানোর দাবি জানানো হয়। একই সঙ্গে দাবি আদায়ে কর্মসূচি ঘোষণা করেছে ঠিকাদার সমিতি। সংগঠনের নেতারা জানান, দাবি আদায় না হলে চলমান উন্নয়নমূলক কাজ বন্ধ করে দিতে তাঁরা বাধ্য হবেন।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সমিতির আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম দুলাল। সমিতির সদস্যসচিব রইছ আহাম্মেদের সঞ্চালনায় বক্তব্য দেন সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক শফিকুল ইসলাম মিঠু, খায়রুল কবীর রানা, মঞ্জুর আহমেদ আজাদ, আবু আহমেদ সিদ্দিক পারভেজ প্রমুখ।
সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বর্তমানে প্রতিটি নির্মাণসামগ্রীর মূল্য দরপত্রের চুক্তি মূল্য থেকে গড়ে শতকরা ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাত্র এক থেকে দেড় মাসের ব্যবধানে ইটের মূল্য শতকরা ৪০, পাথরের মূল্য ৮০, রডের মূল্য ৫০ ও সিমেন্টের মূল্য ৩৫ ভাগ বেড়েছে।
এ ছাড়া বিটুমিনের মূল্য ৪০, মোটা বালু ৩০, এমএস শিট ৫০, ফ্লাটবার ও অ্যাঙ্গেল ৫০, টাইলস ২০ এবং থাই গ্লাসের মূল্য ৪০ ভাগ বৃদ্ধি পেয়েছে। এই অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি সিন্ডিকেটের ষড়যন্ত্র এবং পরিকল্পিত কি না তা খতিয়ে দেখার দাবি জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।
ঠিকাদারেরা জানান, দেশের উন্নয়নের অগ্রযাত্রায় মূল কারিগর ঠিকাদারেরা। ১০ লাখ ঠিকাদার এই শিল্পের সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া নির্মাণকাজের সঙ্গে প্রায় ১ কোটি মানুষ সরাসরি জড়িত। নির্মাণসামগ্রীর মূল্য অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় ঠিকাদারদের পক্ষে নির্মাণকাজ করা সম্ভব হচ্ছে না।
সংবাদ সম্মেলনে দাবির সমর্থনে ২১ মার্চ জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান এবং ২৩ মার্চ রংপুর সিটি করপোরেশন ও নির্বাহী প্রকৌশলী এলজিইডি রংপুরের কার্যালয়ের সামনে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন সমিতির যুগ্ম আহ্বায়ক ইঞ্জিনিয়ার শাহাদত হোসেন, সদস্য শফিকুল ইসলাম যাদু, ওয়াসিমুল বারী রাজ, রেজাউল ইসলাম মিলন, আব্দুর রব রাঙ্গা, অরূপ দত্ত, লিটন পারভেজ, জাহিদুল ইসলাম রুবেল, নওরোজ হোসেন পল, আবু সামা, লোকমান হোসেন, আলহাজ্ব রুহুল আমীন ফুলু, রবিউল ইসলাম রবি, রাহাত ইসলাম রনি, আলতাফ হোসেন লন্ডন, ফরহাদ হোসেন, আশরাফুল ইসলাম বাবু ও জয়নুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।