হোম > ছাপা সংস্করণ

খেজুরের রস থেকে গুড় তৈরিতে ব্যস্ত গাছিরা

নাগরপুর প্রতিনিধি

নাগরপুরে খেজুর রস থেকে সুস্বাদু গুড় তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন গাছিরা। শীতের আগমনে বেশ কিছুদিন ধরেই শুরু হয়েছে খেজুর রস সংগ্রহের কাজ। প্রতি বছরের মতোই এ বছরও রস সংগ্রহের জন্য খেজুরগাছ প্রস্তুতের কাজ চলছে। উপজেলার বিভিন্ন অঞ্চলের গাছিরা এখন ব্যস্ত রস সংগ্রহে।

ভোরের সূর্য ওঠার আগে গাছিরা রস ভর্তি মাটির ভাঁড় গাছ থেকে নামান। পরে মাটির হাঁড়িতে কিংবা টিনের বড় তাওয়ায় জ্বাল দিয়ে গুড়-পাটালি ও লালি তৈরি করেন। নতুন খেজুর রসের গুড় তৈরির পর তা চলে যাচ্ছে বাজারে।

রস সংগ্রহ, গুড় তৈরি ও বাজারে বিক্রি করতে এখন ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন গাছিরা। গ্রামের ঘরে ঘরে খেজুর রসের পিঠা, পায়েস, গুড়ের মুড়ি-মুড়কি ও নানা ধরনের মুখরোচক খাবার তৈরি করার ধুম পড়েছে। বাজারে চিনির দাম তুলনামূলক কম হলেও খেজুরের গুড়ের চাহিদা কমেনি বলে জানিয়েছেন স্থানীয় গাছিরা।

রাজশাহীর বাঘা উপজেলার ঢাকাচন্দ্রগাতী গ্রামের মো. রায়হান উদ্দিন (২৮) খেজুরের গুড় তৈরির কাজে চলে এসেছেন নাগরপুরে। একই গ্রামের লিটন ও আনিসকে নিয়ে রায়হান উদ্দিন গুড় তৈরির কাজ করে আসছেন ৮ বছর ধরে।

জানা গেছে, স্থানীয় বাসিন্দাদের মোট ১৫০টি খেজুরগাছ থেকে রস সংগ্রহ করে। তা থেকে খেজুরের গুড় ও স্থানীয় ভাষায় মধুরসা তৈরি করে বাজারে বিক্রি করা হচ্ছে। প্রস্তুত করা প্রতিটি গাছ থেকে সপ্তাহে ৫-৬ কেজি রস সংগ্রহ করা হয়। প্রতিটি গাছ থেকে শুরুতে এক থেকে দুই কেজি করে রস সংগ্রহ হয় ও আস্তে আস্তে তা বাড়ে।

প্রথমদিকে প্রতিদিন আনুমানিক পাঁচ কেজি করে খেজুরের গুড় তৈরি হয়। পুরো মৌসুমে প্রতিদিন ১৫ কেজি থেকে ২০ কেজি খেজুরের গুড় ও মধুরসা তৈরি করা হয়। প্রতি কেজি খেজুরের গুড় ও মধুরসা বাজারে পাইকারদের কাছে ৪০০ থেকে ৩৫০ টাকায় বিক্রি করা হয়।

গাছি রায়হান উদ্দিন বলেন, বিগত ৮ বছর ধরে তিনি নাগরপুর উপজেলায় নিয়মিত আসেন খেজুর রস থেকে গুড় তৈরির কাজে। এটিই আমার মূল ব্যবসা। বাকি সময় গুলো আমার এলাকায় কৃষি কাজ করি।

গাছ মালিকদের বিষয়ে জানতে চাইলে রায়হান উদ্দিন বলেন, রস থেকে গুড় তৈরির জন্য স্থানীয়দের মোট ১৫০টি গাছের মালিকদের সঙ্গে চুক্তি করা আছে। প্রতিটি গাছের জন্য ২০০-২৫০ টাকা বা এক থেকে দুই কেজি গুড় দিতে হয়।

আনিস মিয়ার বলেন, খেজুরগাছ তৈরির প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পর থেকেই মূলত রস নামানোর পর্ব শুরু হয়। গাছের মাথার নির্দিষ্ট স্থানে বাঁশের বানানো দুটি চোখা খুঁটি পোঁতা হয়। সঙ্গে দড়ি বা সুতা বেঁধে মাটির পাত্র ঝুলিয়ে দেওয়া হয়। পাত্রের ভেতর রস পড়ার জন্য বাঁশের তৈরি নালার মতো ভিন্ন একটি খুঁটি পুঁতে দেওয়া হয় সেই গাছের সঙ্গে। এভাবেই গাছির নিপুণ হাতের ছোঁয়ায় ফোটায় ফোটায় ঝরে খেজুর রস।

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ