নীলফামারীর সৈয়দপুরে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনবিহীন বিভিন্ন ভেজাল খাদ্যপণ্য বিক্রি হচ্ছে প্রকাশ্যে। এ ছাড়া নাদিদামি কোম্পানির মোড়কে এসব পণ্য বাজারজাত করা হচ্ছে। এসব খাদ্যদ্রব্যের মধ্যে রয়েছে জুস, সেমাই, মরিচের গুঁড়া, চিপস, বিস্কুট, চানাচুর, হলুদের গুঁড়া ও পানীয়সহ শিশুদের নানা ধরনের খাবার।
পণ্যগুলো অনেকে বাধ্য হয়ে কিনছেন, আবার কেউ কেউ কিনে ঠকছেন, এমনটি জানিয়েছেন কয়েকজন ক্রেতা। তাঁদের অভিযোগ, পৌরসভার স্বাস্থ্য পরিদর্শক নিয়মিত আর্থিক সুবিধা পেয়ে থাকেন। তাই বন্ধ হচ্ছে না এসব পণ্য বিক্রি। তবে স্বাস্থ্য পরিদর্শক আলতাফ হাসেন জানান, অন্য কাজের চাপে নিয়মিত তদারকি করা সম্ভব হয় না। তাঁদের বিরুদ্ধে শিগগির ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
জানা যায়, শহরের মিস্ত্রিপাড়া, গোলাহাট, নিয়ামতপুর, পুরাতন বাবুপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় নামে-বেনামে গড়ে উঠেছে এক ডজনেরও বেশি খাদ্য তৈরির কারখানা।
সরেজমিনে দেখা গেছে, নিম্নমানের আটা দিয়ে তৈরি চিপস শুকানোর জন্য রাখা হয়েছে খোলামেলাভাবে। সেখানে জমে আছে ধুলাবালি। পাশেই কয়েক দিনের পুরোনো কালো তেলে চলছে চানাচুর ভাজার কাজ।
আমিনুর রহমান নামের এক ব্যক্তি ডিলারশিপ নিয়ে বগুড়ার তৈরি পিংপং ও দীপ নামের জুস বিক্রি করছেন।
তিনি বলেন, ‘কোম্পানি থেকে বলা হয়েছে বিএসটিআইয়ের অনুমোদনের জন্য আবেদন করা হয়েছে। তাই এসব পণ্য বিক্রি করছি।’
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আলেমুল বাশার বলেন, এসব খাদ্যে যে রং ব্যবহার করা হয়, তা মূলত ক্ষতিকারক কেমিক্যাল, যা খেয়ে চর্মরোগসহ কিডনির ক্যানসার রোগে আক্রান্ত হচ্ছেন অনেকে।