ঘূর্ণিঝড় জাওয়াদের প্রভাবে উপকূলীয় বরগুনার বেতাগীতে দুদিন ধরে টানা গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি হচ্ছে। গত রোববার থেকে টানা ভারী বৃষ্টিতে উপজেলার কৃষি জমি ও ধানখেতগুলোতে দেখা দিয়েছে জলাবদ্ধতা।
যেসব নিচু জমিতে পানি জমে গেছে, বৃষ্টি থামার পরে ওই সব জমির পাকা ধান গাছ হেলে পড়েছে। ফলে যেসব খেতের ধান এখনো পরিপক্ব হয়নি সেগুলো চিটা হওয়ার আশঙ্কা করছেন চাষিরা।
বেতাগী উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ কার্যালয় সূত্রে জানা যায়, উপজেলায় এবার ১ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে রোপা আমন চাষ করা হয়েছে। এর মধ্যে উচ্চফলনশীল ধান ছাড়াও রয়েছে স্থানীয় জাতের কালোজিরা, দুধসর, চিনি আতপ ও কাটারিভোগ ধান। এ ছাড়া শীতকালীন সবজি শিম, মুলা, বরবটি, আগাম জাতের টমেটো ও ফুলকপির চাষও করা হয়েছে। তবে পানি দ্রুত নেমে গেলে জমির ধান হেলে পড়লেও তেমন কোনো ক্ষতির আশঙ্কা করছে না কৃষি বিভাগ।
উপজেলার হোসনাবাদ ইউনিয়নের ফুলতলা গ্রামের কৃষক নজরুল ইসলাম জানান, তিনি প্রায় পাঁচ বিঘা জমিতে আমনের চাষ করেছিলেন। ঘূর্ণিঝড়ের প্রভাবে গত দুই দিনের টানা বর্ষায় অধিকাংশ পাকা ধান গাছ হেলে পড়েছে।
নজরুল ইসলামের দাবি, বৃষ্টি না হলে এক সপ্তাহের মধ্যেই তিনি ধান কাটতে পারতেন। এখন ধান কাটা এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিতে হবে। এ ছাড়া হেলে পড়া ধান কেটে ঘরে তুলতে খরচও দ্বিগুণ পড়বে। ধান কাটতে দেরি হলে রবিশস্য চাষাবাদ বিলম্ব হবে। এ ছাড়া যে ধানগুলো এখনো পোক্ত হয়নি সেগুলো চিটা হওয়ার শঙ্কা করছেন তিনি।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ইকবাল হোসেন বলেন, গত কয়েক দিনের বৃষ্টিতে কৃষকেরা কিছুটা ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন। তবে জমি থেকে দ্রুত পানি নেমে গেলে কৃষকদের খুব বেশি শঙ্কার কারণ নেই।