কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়ায় এবার আগাম ফুলকপির চাষ করে সফল হয়েছেন সৈয়দুজ্জামান নামের একচাষি। গত বছরও আগাম কপি চাষ করেছিলেন। তবে ভালো দাম পাননি। এ বছর ব্যাপক ফলনের পাশাপাশি বাজারে ভালো দামও পাচ্ছেন। এতে খরচ মিটিয়ে আর্থিকভাবে বেশ লাভবান হবেন বলে আশা সৈয়দুজ্জামানের।
স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, উপজেলার জাঙালিয়া ইউনিয়নের চরকাওনা উত্তরপাড়া গ্রামের চাষি সৈয়দুজ্জামান। তিনি চলতি মৌসুমে ৬৪ শতক জমিতে ফুলকপির চাষ করেছেন। ফুলকপির আগাম চাষ করায় ওই এলাকায় একমাত্র তিনিই বাজারে ফুলকপি বিক্রি করছেন। মৌসুমের শুরুতে বেশ চাহিদা থাকায় ভালো দামে বিক্রি হচ্ছে
তাঁর ফুলকপি। সরেজমিনে ওই কৃষকের ফুলকপি বাগানে দেখা গেছে, তিনটি বাগানে ফুলকপির চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দুটি বাগানের ফুলকপি বিক্রি শুরু হয়ে শেষের পথে। অপর একটি বাগানের কপিও সপ্তাহ খানিকের মধ্যে বাজারে বিক্রি করা যাবে। এখন জমিতে কপির পরিচর্যায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন সৈয়দুজ্জামান ও তাঁর ছেলে।
সৈয়দুজ্জামান বলেন, ‘আগাম ফুলকপির চাষ করেছি। ১৫ থেকে ২০ দিন ধরে ফুলকপিবিক্রি করছি। পাইকারেরা বাগানে এসে ফুল কপি কিনে নিচ্ছেন। আবার কেউ
মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করেও ফুলকপির অর্ডার করছেন। আগাম বিক্রি করতে পেরে ভালো দাম পাচ্ছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘গত বছরও আগাম ফুলকপির চাষ করেছিলাম। তবে বাজার দর ভালো পাইনি। বীজ রেখে দিয়েছিলাম। তা দিয়ে এবার আবার চাষ করেছি। এতে আমার শ্রমিক খরচসহ ১৮ থেকে ২০ হাজার টাকা লেগেছে। ইতিমধ্যে ৩০ হাজার টাকার মতো ফুলকপি বিক্রি করেছি। এখনো বাগানে যে কপি রয়েছে তা বিক্রি করলে প্রায় লাখ দুইয়ের মতো বিক্রি করতে পারব।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আবদুল্লাহ আল মামুন বলেন, সবজি চাষের জন্য এই এলাকা বিখ্যাত। স্থানীয় বাজারে এখন আগাম সবজির ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। বাজারে ফুলকপির দামও ভালো। তাই এখানকার চাষিরা আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছেন।