ভারী বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে নেত্রকোনার কেন্দুয়ায় জৈব পদ্ধতিতে বিষমুক্ত প্রক্রিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে ওঠা ‘মল্লিক ফ্রুটস গার্ডেন’ নামের ফলের বাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামে এই বাগানটি গড়ে তোলেন আনোয়ার জাহিদ মল্লিক। বন্যায় কয়েক লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে বাগানটির মালিকপক্ষ জানিয়েছে।
জানা গেছে, উপজেলার কান্দিউড়া ইউনিয়নের ব্রাহ্মণজাত গ্রামের বাসিন্দা বৃক্ষপ্রেমিক আনোয়ার জাহিদ মল্লিক গ্রামেরবাড়িতে প্রায় এক একর জমিতে বিভিন্ন জাতের আমের দুটি বাগান গড়ে তোলেন। জৈব পদ্ধতিতে বিষমুক্ত প্রক্রিয়ায় বাণিজ্যিকভাবে গড়ে তোলা বাগানদুটিতে বারোমাসিসহ অন্তত ৪০ জাতের আমগাছ রয়েছে। এ ছাড়া তিনি ১৫ শতাংশ জমিতে শজনের চাষও করেছেন। পাশাপাশি তাঁর মাল্টাবাগান রয়েছে। সেইসঙ্গে বসতবাড়ির পাশের দুটি পুকুর পাড়েও বিভিন্ন জাতের ফলের চাষ করেছেন। এ অবস্থায় কয়েকদিনের ভারি বৃষ্টি ও উজান থেকে নেমে আসা পানির ঢলে আমবাগানগুলি বন্যাকবলিত হয়। এতে বিভিন্ন জাতের আম ও বারোমাসি আমের মুকুলের ব্যাপক ক্ষতি হয়। এ ছাড়া গাছের গোড়ায় পানি জমে শজনের বাগানটিও ক্ষতির মুখে পড়েছে। ফলে নিরুপায় হয়ে মালিকপক্ষ নির্ধারিত সময়ের আগেই আমবাগানের বিভিন্ন জাতের কাঁচা-আধা পাকা আম তুলে বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছেন।
এদিকে বন্যাকবলিত হয়ে আমবাগানের ক্ষতির খবর পেয়ে ইতিমধ্যে উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা একেএম শাহজাহান কবির ও উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা মোফাজ্জল হোসেন ঘটনাস্থল পরিদর্শনও করেছেন। এ সময় কৃষি কর্মকর্তারা আমবাগানসহ বিভিন্ন জাতের ফল ও ফলের গাছ বাঁচাতে ক্ষতিগ্রস্ত বৃক্ষপ্রেমিককে প্রয়োজনীয় পরামর্শও দেন।
এ ব্যাপারে গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে বৃক্ষপ্রেমিক আনোয়ার জাহিদ মল্লিক বলেন, ‘বন্যাকবলিত হয়ে আমার আমবাগানের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। এ ছাড়া গাছের গোড়ায় পানি জমে শজনের বাগানটিও ক্ষতির মুখে পড়েছে। এতে সব মিলিয়ে আমার পাঁচ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে।