ভারতীয় সীমান্তরক্ষা বাহিনী বিএসএফের হাতে নিহত মেজবাহ উদ্দিনের (৪৭) লাশ গতকাল বুধবার বিকেলে জানাজা শেষে তাঁর গ্রামে দাফন করা হয়েছে। এর আগে গতকাল দুপুরে ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর লাশ অ্যাম্বুলেন্সে পৌর এলাকার উত্তর গুথুমা গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। এ সময় স্ত্রী ও চার কন্যাসন্তানের কান্নায় এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে। মেজবাহ উদ্দিনের চার কন্যা বাবার মুখ দেখতে আহাজারি করলেও দেখতে দেওয়া হয়নি।
স্থানীয় কাউন্সিলর নিজাম উদ্দিন সুমন জানান, লাশ অনেকটা পচেগলে গেছে, মুখ থেঁতলে গেছে, দেখার মতো পরিস্থিতি নেই। তা ছাড়া, ময়নাতদন্ত শেষে মাথার হাড় দেখা যাচ্ছে। এমতাবস্থায় লাশ দেখানোর মতো কোনো পরিস্থিতি ছিল না।
জানা গেছে, ফেনীর পরশুরামে বিএসএফের হাতে নিহত মেজবাহ উদ্দিনের লাশ ১৭ দিন পর গত মঙ্গলবার দুপুরে বাংলাদেশ পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে ভারতীয় পুলিশ।
বিলোনিয়া স্থলবন্দরের চেকপোস্ট দিয়ে মেজবাহ উদ্দিনের লাশ হস্তান্তর করা হয়। পুলিশ মেজবাহ উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করে ময়নাতদন্তের জন্য ফেনী সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।
এর আগে ১৩ নভেম্বর উপজেলার বাঁশপদুয়া গ্রামে সীমান্তবর্তী এলাকায় ধান কাটতে গেলে বিএসএফ মেজবাহ উদ্দিনকে ধরে নিয়ে যায়। তিন দিন পর স্থানীয় বাসিন্দারা মেজবাহ উদ্দিনের লাশ ভারতীয় সীমান্তে কাঁটাতারের ১০০ গজ ভেতরে পড়ে থাকতে দেখে বিজিবিকে খবর দেয়। ১৬ নভেম্বর রাত তিনটার দিকে বাংলাদেশি কৃষকের লাশ নিয়ে যায় বিএসএফ।
ভারতের বিলোনিয়া থানার পরিদর্শক পরিতোষ দাস জানান, মেজবাহ উদ্দিনের শরীরে ও মাথায় আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। ময়নাতদন্ত প্রতিবেদন এখনো তাঁদের হাতে আসেনি। প্রতিবেদন পেলে বাংলাদেশ পুলিশকে দেওয়া হবে।
পরশুরাম থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সাইফুল ইসলাম জানান, ভারতীয় কর্তৃপক্ষ আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমে লাশ ফেরত দেওয়ার পর ময়নাতদন্ত শেষে গতকাল বিকেলে দাফন সম্পন্ন হয়েছে।