মা কথাটি ছোট্ট অতি
কিন্তু জেনো ভাই
ইহার চেয়ে নামটি মধুর
তিন ভুবনে নাই।...
-কাজী কাদের নেওয়াজ
সন্তানের সঙ্গে মায়ের সম্পর্কটা ছোটবেলায় একধরনের থাকে। কিন্তু সন্তানের বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে সম্পর্কটা কেমন যেন ফিকে হতে শুরু করে। মা ও সন্তানের মধ্যে দূরত্ব বাড়তে থাকে। আর এই দূরত্বই কখনো কখনো কাল হয়ে দাঁড়ায়। তাই মা ও সন্তানের সম্পর্কটা বন্ধুত্বপূর্ণ থাকা উচিত। পারস্পরিক বোঝাপড়া ভালো হওয়া উচিত। তবেই সম্পর্কে প্রাণ থাকবে। একটা ছন্দ থাকবে।
সম্পর্কের উন্নয়ন
মায়ের সঙ্গে সম্পর্কটা মধুর রাখতে হলে মায়ের সঙ্গে বেশি সময় কাটানো যেতে পারে। মায়েরও অনেক জমানো কথা থাকতে পারে। সেগুলো শুনতে পারেন। একসঙ্গে বেশি সময় কাটালে বোঝাপড়াটা ভালো হবে।
নিয়মিত যোগাযোগ
যোগাযোগ দুজন মানুষের মধ্যে সেতুর মতো কাজ করে। যাঁরা পড়াশোনা কিংবা চাকরির জন্য মা-বারার কাছ থেকে দূরে থাকেন, তাঁরা মায়ের সঙ্গে নিয়মিত যোগাযোগ রাখুন। মা খেয়েছেন কি না, ওষুধ খাচ্ছেন কি না, পিঠের ব্যথা কমেছে না বেড়েছে ইত্যাদি বিষয়ের খোঁজ নিন। এতে মায়ের প্রতি আপনার মমত্ববোধ ও টান প্রকাশ পাবে।
মায়ের সঙ্গে ভ্রমণ
ভ্রমণ হৃদয়কে শান্ত করে। আকাশের মতো উদার মনের অধিকারী হতে হলে ভ্রমণের বিকল্প নেই। মায়ের সঙ্গে হৃদ্যতা বাড়াতে, সখ্য গড়ে তুলতে একসঙ্গে ঘুরে বেড়াতে পারেন। দেশের কিংবা বিদেশের দর্শনীয় জায়গাগুলোতে যেতে পারেন। এতে বোঝাপড়া ভালো হবে। একসঙ্গে স্মরণীয় কিছু সময় কাটবে।
মাকে উপহার দিন
বিভিন্ন উৎসব ও পার্বণ কিংবা দিবসে মায়ের জন্য উপহার কিনুন। উপহার হিসেবে দিতে পারেন ফুল, শাড়ি, কেক কিংবা অন্য কিছু। বিশেষ দিনে মায়ের জন্য বিশেষ কিছু রান্নাও করতে পারেন। এতে মায়ের সন্তুষ্টি অর্জন সহজ হবে। মা নিজেকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করবেন। আপনার সঙ্গে তাঁর সম্পর্কটা মধুর হবে।