দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দরে আমদানি করা গমবাহী ট্রাকের জট বেড়েছে। ব্যাংকের এনওসিসহ অর্থ সংগ্রহে সময় লাগায় পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট আমদানিকারকেরা। এতে বন্দরের অভ্যন্তরে আটকা পড়েছে দুই শতাধিক ভারতীয় ট্রাক। অর্থ ও খাবার শেষ হয়ে যাওয়ায় দুশ্চিন্তায় পড়েছেন এসব ট্রাকচালক ও সহকারী।
ট্রাকচালক সুদাম মণ্ডল ও সাবের আলী বলেন, ‘আমরা ভারত থেকে গম নিয়ে হিলি স্থলবন্দরে এসেছি। এক মাস পেরিয়ে গেছে; কিন্তু ট্রাক থেকে পণ্য খালাস করা হয়নি। যে খাবার বা টাকা নিয়ে এসেছিলাম, তা শেষ হয়ে গেছে। এখন যে আমরা খাব কী, চলব কীভাবে সেই নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছি।’
স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট আলম হোসেন বলেন, ‘দেশে বর্তমানে গমের দাম কমে ২৭ টাকা ৫০ পয়সায় নেমেছে। আন্তর্জাতিক বাজারে দাম কমায় রপ্তানিকারক একসঙ্গে সব গম বাংলাদেশে ঢুকিয়ে দিয়েছেন, যা পর্যায়ক্রমে দেওয়ার কথা ছিল। তবে বন্দরে যেসব গম আটকা রয়েছে, তা সমাধানে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করছি, দু-এক দিনের মধ্যে সব গাড়ি খালি করে ফেলব আমরা।’
হিলি স্থলবন্দরের জনসংযোগ কর্মকর্তা সোহরাব হোসেন বলেন, হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে গম আমদানি অব্যাহত রয়েছে। আগের চেয়ে বর্তমানে গম আমদানির পরিমাণ বেড়েছে। তবে সেই তুলনায় গম খালাস না হওয়ার কারণে বন্দরে জটের সৃষ্টি হয়েছে।
এ বিষয়ে বন্দরের পক্ষ থেকে আমদানিকারকদের জানানো হয়েছে, তাঁরা আশ্বাস দিয়েছেন পর্যায়ক্রমে গমের ট্রাকগুলো খালাস করে নেবেন। সে মোতাবেক খালাস কার্যক্রম শুরু হয়েছে। তবে বন্দরের ভেতরে এখনো দুই শর ওপরে গমবাহী ট্রাক হল্টেজ অবস্থায় রয়েছে। এর মধ্যে কোনো কোনো ট্রাক ২০-২৫ দিন ধরে আটকা রয়েছে।