হোম > ছাপা সংস্করণ

ফটিকছড়ি ও চকরিয়ায় ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে আহত ২৫

ফটিকছড়ি (চট্টগ্রাম) ও চকরিয়া (কক্সবাজার) প্রতিনিধি

চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি ও কক্সবাজারের চকরিয়ায় ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে ২৫ জন আহত হয়েছেন। গত শুক্রবার রাতে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে ফটিকছড়ির জাফতনগর ও সমিতিরহাট ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচন নিয়ে সংঘর্ষে অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় উভয় পক্ষ থানায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করেছেন।

জাফতনগর ইউপিতে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থী আবদুল হালিম অভিযোগ করেন, ‘জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে মোহাম্মদ তকিরহাট বাজারে আমার নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। এ সময় ৭–৮ জন আহত হন। তাঁরা হাসপাতালে চিকিৎসা নিয়েছেন।

অভিযোগ অস্বীকার করে স্বতন্ত্র প্রার্থী জিয়া উদ্দিন বলেন, ‘আমার সমর্থকেরা তকিরহাট বাজারে মিছিল করার সময় আওয়ামী মনোনীত প্রার্থীর সমর্থকেরা হামলা চালান। এ সময় ৭-৮ কর্মী আহত হন।’

এদিকে উপজেলার সমিতিরহাটে আ.লীগ মনোনীত প্রার্থীর নির্বাচনী কার্যালয়ে হামলা চালানো হয়। চেয়ারম্যান প্রার্থী হারুন রশিদ ইমন বলেন, ‘হামলায় ৬-৭ কর্মী আহত হয়েছেন। স্বতন্ত্র প্রার্থী নাসির উদ্দিনের কর্মীরা এ হামলা চালান।’

নাসির উদ্দিন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, ‘এলাকার লোকজন দেখেছে কারা কার ওপর হামলা করেছেন।’

ফটিকছড়ি থানার ওসি মো. রবিউল ইসলাম বলেন, ‘অভিযোগের প্রেক্ষিতে রাতেই ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন পুলিশ সদস্যরা। তদন্ত করে দোষীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

এদিকে কক্সবাজারের চকরিয়ার ভেওলা মানিকচর ইউনিয়নে ইউপি নির্বাচনে নিয়ে আওয়ামী লীগের মনোনীত প্রার্থী বদিউল আলম ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের সমর্থকের মধ্যে দুই দফায় সংঘর্ষ হয়েছে। এতে উভয় পক্ষের ১০ জন আহত হয়েছেন।

গত বৃহস্পতিবার ও শুক্রবার দুই এ ঘটনা ঘটে। আহতেরা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়েছেন।

আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী বদিউল আলমের পক্ষের আহত ব্যক্তিরা হলেন নুরুল আলম (৫৮), আমির হোসেন (৩৮), মোহাম্মদ তুষার (১০), জাগের হোসেন (৫৫), শোয়াইবুল ইসলাম (১৯)। আর স্বতন্ত্র প্রার্থী ও বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর আলমের পক্ষে আহত হয়েছেন শহিদুল মোস্তফা (২২), মো. ইসমাঈল (২৫) ও নজরুল ইসলাম মানিক (৫০) আহত হয়। বাকিদের নাম জানা যায়নি।

বদিউল আলম বলেন, ‘দলীয় মনোনয়নের চূড়ান্ত চিঠি নিয়ে রাতে বাড়িতে ফিরলাম। ভোররাতে নেতা–কর্মীদের কাছ থেকে অফিস ভাঙচুর করার বিষয়টি জানতে পারি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অবমাননা করেছেন তাঁরা। এই ঘটনা বর্তমান চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীরের ইন্ধনে ঘটেছে।’

জাহাঙ্গীর আলম বলেন, ‘আওয়ামী লীগের প্রার্থীর লোকজন আমার নির্বাচনী অফিসে হামলা ও ভাঙচুর করেছেন। এতে আমার পক্ষের তিনজন আহত হয়েছেন। আমি কাউকে দোষারোপ করব না। কারা ঘটনা ঘটিয়েছে তা আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তদন্ত করলে বের হবে।’

চকরিয়া থানার ওসি বলেন, ‘ঘটনার পরপরই ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠানো হয়েছে। পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুই পক্ষই লিখিত অভিযোগ করেছেন। তদন্ত করে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ