হোম > ছাপা সংস্করণ

অপচয়-অপব্যয় নিন্দনীয়

আবদুল আযীয কাসেমি

আল্লাহ তাআলার বিশেষ প্রজ্ঞা ও নীতির কারণে তিনি মানুষকে নানা শ্রেণিতে ভাগ করে দিয়েছেন। কাউকে রেখেছেন অশেষ প্রাচুর্যে আবার কাউকে রেখেছেন ভীষণ অভাবে। এটাই আল্লাহর নীতি। এর মাধ্যমে মূলত আল্লাহ তাআলা উভয় শ্রেণিকে পরীক্ষা করতে চান। আরও বহুবিধ হেকমত ও রহস্য নিহিত রয়েছে তাতে। আল্লাহ বলেন, ‘আমিই তাদের মধ্যে জীবিকা বণ্টন করি পার্থিব জীবনে এবং একজনকে অপরের ওপর মর্যাদায় উন্নত করি; যাতে একে অপরকে দিয়ে কাজ করিয়ে নিতে পারে।’ (সুরা যুখরুফ: ৩২)

তাই প্রাচুর্য ও সচ্ছলতা আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশাল অনুগ্রহ। এ অনুগ্রহের দাবি হলো, আমরা যেন আল্লাহর নেয়ামত সচেতনভাবে ব্যবহার করি এবং কোনো রকম অপচয় না করি। তবে দুঃখজনক হলেও সত্য, সমাজের বিত্তবান শ্রেণি অত্যন্ত নির্দয়ভাবে সম্পদের অপচয় করে থাকেন। নিজেদের ব্যক্তিগত ব্যবহার থেকে শুরু করে সমাজ ও রাষ্ট্রে যে হারে সম্পদের অপচয় পরিলক্ষিত হয়, তা অত্যন্ত পীড়াদায়ক। এসব সম্পদের সঠিক ব্যবহার নিশ্চিত করা গেলে বহু আগেই দারিদ্র্য সমস্যার সমাধান করা যেত।

কোরআন-হাদিসের ভাষায় অপচয়-অপব্যয়ের কঠোর নিন্দা করা হয়েছে। আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘এবং কিছুতেই অপব্যয় করো না। জেনে রেখ, যারা অপব্যয় করে তারা তো শয়তানের ভাই। শয়তান তার প্রতিপালকের প্রতি অতিশয় অকৃতজ্ঞ।’ (বনি ইসরাইল: ২৬-২৭) মুজাহিদ (রহ.) বলেন, ‘কেউ যদি তার সকল সম্পদ সঠিক পথে ব্যয় করে, তবে সে অপচয়কারী নয়। আর কেউ যদি অবৈধ পথে সামান্য পরিমাণ সম্পদও ব্যয় করে, তবে সে অপচয়কারী হিসেবে গণ্য হবে।’ মহানবী (সা.) বলেন, ‘আল্লাহ তাআলা তোমাদের তিনটি স্বভাব ভীষণ অপছন্দ করেন। এক. অনর্থক কথাবার্তা, দুই. সম্পদের অপব্যয়, তিন. অর্থহীন ও অসার প্রশ্নোত্তর।’ (বুখারি)

লেখক: শিক্ষক ও হাদিস গবেষক

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ