হোম > ছাপা সংস্করণ

৫০০ গাড়ি পারের অপেক্ষায়

মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি

সাপ্তাহিক ছুটির দিনে যানবাহনের চাপ বেড়েছে মানিকগঞ্জের শিবালয় উপজেলার পাটুরিয়া ফেরিঘাট এলাকায়। পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ার নৌপথে ফেরিসংকটের কারণে যানবাহন পারাপার কিছুটা ব্যাহত হওয়ায় ঘাট এলাকায় ৫ শতাধিক যানবাহনের দীর্ঘ লাইন সৃষ্টি হয়। এতে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রী ও চালকেরা।

গতকাল শুক্রবার বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (বাণিজ্য) মো. জিল্লুর রহমান তথ্যটি নিশ্চিত করেন।

যাত্রী ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে নৌপথ পারাপার হতে আসা যাত্রীবাহী বাস ও ব্যক্তিগত ছোট গাড়ি এবং জরুরি পণ্যবাহী ট্রাক পারাপার করায় সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকচালকেরা সহজেই ফেরিতে উঠতে পারছেন না। এতে ঘাট এলাকায় অপেক্ষমাণ ট্রাকের সংখ্যা বেড়ে যাচ্ছে। দীর্ঘ হচ্ছে সাধারণ পণ্যবাহী ট্রাকের সারি।

সরেজমিনে দেখা গেছে, ঘাট এলাকায় শতাধিক মালবাহী ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান, বাস পারাপারের অপেক্ষায় রয়েছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, পাটুরিয়া ঘাটে ৩০টির মতো যাত্রীবাহী পরিবহন পারের অপেক্ষায় রয়েছে। তবে মালবাহী ট্রাক ও কাভার্ড ভ্যান রয়েছে ৪ শতাধিক। পাটুরিয়া ঘাটের দুটি ট্রাক টার্মিনাল বোঝাই ট্রাক থাকায় ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের উথুলী ইন্টারসেকশন থেকে আরিচা রোডে মালবাহী ট্রাক পার্কিং করে রাখা হয়েছে। এতে আরিচাগামী মানুষের চলাচল করতে নানা দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। বিআইডব্লিউটিসি কর্তৃপক্ষ বলছে, তাদের টার্মিনালে জায়গা না থাকায় অস্থায়ীভাবে আরিচা রোডে গাড়ি রাখা হয়েছে। টার্মিনালে যানবাহনের চাপ কমে গেলে এখান থেকে যানবাহন সরিয়ে নেওয়া হবে।

যশোরগামী সোহাগ পরিবহনের চালক জসিম উদ্দিন বলেন, ‘আমি বেলা ১১টায় গাবতলী থেকে পাটুরিয়া ঘাটে এসেছি। সাড়ে তিন ঘণ্টা ধরে পারাপারের অপেক্ষায় বসে আছি। কখন পার হতে পারব জানি না।’

খুলনাগামী সৌদিয়া পরিবহনের চালক মনির হোসেন বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাটে দুর্ভোগের শেষ নেই। গুরুত্বপূর্ণ একটি নৌরুট হওয়া সত্ত্বেও কর্তৃপক্ষ কখনো এদিকে নজর দেন না। ২১টি জেলার মানুষ যাতায়াত করলেও সব সময় ফেরিসংকট থাকে। এখন থেকে আবার শুরু হবে কুয়াশার দুর্ভোগ। আমাদের দুর্ভোগ কখনো কমবে না।’

যশোরগামী সৌদিয়া পরিবহনের যাত্রী মনিরুজ্জামান বলেন, ‘পাটুরিয়া ঘাটে কোনো শৃঙ্খলা নেই। যাত্রীদের নিরাপত্তা নেই। পুলিশ প্রশাসন ও টিসি কর্তৃপক্ষ এসব বিষয়ে কোনো কথা বলে না।’ তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা দুপুর ১২টার দিকে ঘাটে এসেছি, এখানো পার হতে পারিনি। কিন্তু ভিআইপি পার হয়ে যাচ্ছে। তাদের সঙ্গে কথা বললে মনে হয় শুধু ভিআইপিরাই মানুষ, আমরা গরু-ছাগল।’

বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন করপোরেশন (বিআইডব্লিউটিসি) আরিচা কার্যালয়ের উপমহাব্যবস্থাপক (ডিজিএম) মো. জিল্লুর রহমান বলেন, দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে বর্তমানে ৮টি রো-রো বড় ফেরি ও ৮ ছোট ফেরি দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। এ ছাড়া পাটুরিয়া ভাসমান কারখানা ডকইয়ার্ডে মেরামতের জন্য রয়েছে চারটি ফেরি।

জিল্লুর রহমান আরও বলেন, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই নৌরুটে একদিকে ফেরিসংকট অন্যদিকে সাপ্তাহিক ছুটির দিন হওয়ায় যাত্রী ও যানবাহনের কয়েক গুণ চাপ বেড়ে গেছে। কাগজে-কলমে তাঁদের বহরে ছোট-বড় যে ১৬টি ফেরি রয়েছে, তা দিয়ে যানবাহন পারাপার করা হচ্ছে। যাত্রীদের দুর্ভোগ কমাতে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে পরিবহন বাস ও ছোট গাড়ি পারাপার করা হচ্ছে। পাটুরিয়া দৌলতদিয়া নৌরুটে ফেরির সংখ্যা বাড়ানো না হলে এই সংকট মোকাবিলা করা সম্ভব নয়।’

শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় শেষ সাক্ষীর জেরা চলছে

ঝাঁকে ঝাঁকে ইলিশ পাওয়ার আশায় সাগরে জেলেরা

ভারতের নিষেধাজ্ঞা: স্থলবন্দর থেকে ফেরত আসছে রপ্তানি পণ্য

নিলামে গৌতম বুদ্ধের রত্নসম্ভার

যুক্তরাষ্ট্র-চীনের সমালোচনা জাতিসংঘের উদ্বেগ

ভারতের হামলা, পাকিস্তানের প্রস্তুতি

মহাসড়কে ডাকাতি, লক্ষ্য প্রবাসীরা

বিআরটি লেনে বেসরকারি বাস

হইহুল্লোড় থেমে গেল আর্তচিৎকারে

সন্দ্বীপ সুরক্ষা প্রকল্প: এক বছরেও শুরু হয়নি কাজ